Let's start.....
" আহু কিস মি বেক "
He demand.
আহু চোখ বন্ধ করে যখন আবার জাংকুক এর লিপস্ অনুভব করে। জাংকুক নিজের হাত আহিয়ার কোমরে জরিয়ে নেয়। জাংকুক এর মধ্যে কোনো একটা ভাবনা ঢুকে গিয়েছিলো যে সে থাকতে আহিয়াকে কেও হার্ট করতে পারবে না।
ও তখন ওর ঠিক অবস্থায় ছিলো না। ভেবেছিলো জিমিন আহিয়াকে হয়তো তার কাছ থেকে কেড়ে নিবে। তাই আহিয়াকে সে নিজের করে নিতে চায়।
চায় না কেউ আহিয়ার আশেপাশেও থাকুক। এটাই ছিলো তার ভুল। আর আহিয়ার ভুল ছিলো হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে জাংকুক বাধা না দেওয়া।
ওরে মিশে যায় একে ওপরের সাথে। দু'জনের ফিলিংস এক হয়ে যায়। যেনো দুজন দুজন কে ছাড়া শূন্য।
-
রুমের মধ্যে শুয়ে আছে একি blanket এর মধ্যে আহিয়া আর জাংকুক। আহিয়া সকালের মৃদু আলোয় ধীরেধীরে চোখ খুলে।
শরীরে ব্যাথার অনুভব করছিলো। ব্যথায় ঘাড় এদিক সেদিক করতে গিয়ে দেখতে পায় ডান পাশে জাংকুক।
আহিয়া ফেল ফেল করে জাংকুক এর দিকে তাকিয়ে ছিলো। আহিয়ার মনে পরে সেই রাতের কথা যে রাতে তার সব কিছু সে নিজ হাতে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।
মনে পরে কাল রাতে ঘটে যাওয়া তাদের কর্ম। আহিয়া চমকে ওঠে বসে blanket নিজের শরীরে ধরে। এক হাতে blanket ধরে ছিল আর আরেক হাত চলে যায় মাথায়। চুলোগুলো মুষ্টি বদ্ধ করে ধরে আর গাল বেয়ে জল গরিয়ে পরে।
এটা সে কি করলো। এত বছরের ফ্রেন্ডশিপ সে এভাবে কষ্টকর স্মৃতিতে রূপ দিয়ে দিলো। সবচেয়ে বড় কথা তার জিবনে এত বড় একটা বিষয় নিয়ে সে সর্তক ছিলো না।
নিজের জিবনটা এভাবে সে নষ্ট করে দিলো। মনে মনে জাংকুক ওপর তার খুব অভিমান হয়, রাগ না। কারন ভুল এখানে তারও ছিলো। কেন কথায় সে রাগ করবে। কিন্তু অভিমান হয় যে জাংকুক নিজেও সর্তক ছিলো না।।
যে কিনা বলেছিলো তাকে সবসময় প্রটেক্ট করবে । প্রটেক্ট করা বদলে সে সর্বনাসটাই করলো।
অঝোর অশ্রু থামছিলো না। কি করবে ভেবে পাচ্ছিলোনা। বাচ্চাদের মত ঘুমানো জাংকুকে জেগে তুলবে নাকি ও ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
-
আহিয়া বাসায় ফিরে আসে। জাংকুকের ওঠার অপেক্ষায় সে থাকে না। কি বলবে সে জাংকুক কে । আর জাংকুকি কি বলবে।
আহিয়ার ভয় হচ্ছিলো, যদি মায়া জানতে পারে তাহলে বিরাট কান্ড হবে। আর আহিয়া যতটুকু জানে, জাংকুক মায়াকে খুব ভালোবাসে।
আহিয়া আাসায় এসে সাওয়ার নেয়। সাওয়ার নিয়ে, ড্রেস চেঞ্জ করে আয়নার সামনে এসে বসে। আয়নার দিকে তাকিয়ে ছিলো নিজের দিকে। কোনো ইমোশন ছাড়া।
আমি কোন মুখে জাংকুকের সামনে গিয়ে দাড়াবো। আমি এটা কি করলাম। যদি কেউ জেনে তাহলে কি হবে। আমার কিচ্ছু মাথায় আসছে না। (আহিয়া)
আহিয়ার ভাবনার মাঝে তার ফোন বেজে ওঠে। আহিয়া বিছানার দিকে তাকায় যেখানে ফোনটা ছিলো।
আহিয়া অলসতার সাথে ওঠে গিয়ে দেখে জাংকুক কল করেছে। আহিয়ার হাত কাপতে শুরু করে।
কি করবে ভেবে পাচ্ছিলেনা। ফোনটা হাত থেকে পরে যায় অতিরিক্ত হাত কাপার কারনো।
কলটা কেটে গেলে আহিয়া দ্রুত নেটওয়ার্ক ওফ করে দেয় যাতে জাংকুক আর কল করতে না পারে।
-
কলটা ধরলোনা। (জাংকুক).
জাংকুক সকালের অবস্থায় এখনো। ঘুম থেকে ওঠে সবকিছু মনে পরলে জাংকুক প্রথমেই আহিয়াকে কল করে ফ্রেশ না হয়ে।
জাংকুক আবারো আহিয়াকে কল করলে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। আরো একবার কল করলে একি কথা।
জাংকুক ফোনটা খাটে স্বজোড়ে রেখে দেয় আর দুহাত নিজের চুল পিছন দিকে নিয়ে টেনে ধরে রাখে।
এটা আমি কি করলাম। সব আমার জন্য হয়েছে। আমি বলেছি সবসময় ওকে প্রটেক্ট করবো। কিন্তু শেষে আমি ওর জিবনের সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাড়ালাম।
ও একটা ইনোসেন্ট মেয়ে ছিলো। আমি যে কেনো এত ড্রিংকস করতে গেলাম। হয়তো বাসায় বসে কান্না করছে এখন। কল ধরলো না।
আমি কি যাবো ওর বাসায়। না থাক একটু সময় দেই। ও নিজেকে সামলে নেক। কালকে ভার্সিটি গিয়ে কথা বলবো। (জাংকুক)
জাংকুক ফ্রেস হতে চলে যায়।
-
" কি! "
তেয়হিং হতবাক হয়ে জাংকুকের দিকে তাকিয়ে ছিলো যে কি-না ঠোঁট কামড়াচ্ছিলো। জাংকুক ওপর নিচ মাথা নাড়ে।
ওরা আসলে জাংকুক এর বাসার ছাদে একপাশে দাড়িয়ে ছিলো।
" তুই আমাকে এইসব কথা শোনানোর জন্য সকালে ডেকে এনেছিস তোর বাসায়। "
তেয়হিং বিরক্তিকর ভাব প্রকাশ করে।
" তুই আমাদেরকে আজ পর্যন্ত আহিয়ার বিষয়ে যে সব বলেছিস আর কালকে আহিয়ার সাথে সময় কাটিয়ে যা ভাবলাম, আহিয়া খুবি ভালো মনের মেয়ে। তুই এটা কিভাবে করলি জাংকুক। "
জাংকুক মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলো। কিছু বলার সাহস পাচ্ছিলো না।
" মায়া যদি জানতে পারে এইসব তখন কি হবে। মায়া তো আহিয়াকে দুই চোখে সহ্য করতে পারে না। "
" তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস? না কি আমি পাগল হয়ে গিয়েছি। আমি এগুলো মায়াকে কেনো বলবো। ও আমাকে শেষ করে ফেলবে। "
" ও তোকে শেষ করতে যাবে কেনো! "
" কেনো না। ও আহিয়াকে কিছু করার আগে আমাকে পেরিয়ে যেতে হবে। ওর সাথে মাএ আমার সাত মাসের রিলেশন। "
" চিটার কোথাকার। তুই মায়াকে না বললে তো তুই ওর সাথে একধরনের চিট করলি যদিও এটা এক্সিডেন্ট। "
" এত কথা বুঝি না। জিমিনকে বলিনি কারন জিমিন কালকে রাতে বলেছে যে ও আহিয়াকে লাইক করে। এইসব জানলে ও কষ্ট পাবে। তাই তোকে বলেছি।
জিমিন জেনো এ বিষয়ে কিচ্ছু জানতে না পারে বলে দিলাম। "
" আরে জিমিন তো মজা করছিলো তোকে jealous ফিল করানোর জন্য। ওর কথা বাদ। "
জাংকুক সারপ্রাইজ হয়ে শুনে যে জিমিন মজা করছিলো। কিন্তু জাংকুক এটা জানতো যে ওর আহিয়ার মধ্যে যা ঘটেছে তা একমাত্র এই jealous এর কারনে।
জিমিনের ওপর জাংকুকে খুব রাগ হয়। মন চাচ্ছিলো গিয়ে মনের মত কেলাতে জিমিনকে। কিন্তু এখন সে সময় না।
" তেয়হিং তোর কাছে আমার একটা রিকুয়েষ্ট আছে রাখবি! "
" কি বল, যদি পারি তাহলে অবশ্যই রাখবো। "
" তুই আমাদের বিষয় দয়া করে কাইকে বলিস না। আর একবার আহিয়াকে বাসায় গিয়ে দেখে আসবি। আমার অনেক টেনশন হচ্ছে ওর জন্য "
জাংকুক মন খারাপ করে বলে। তেয়হিং দীর্ঘ শাস্ব ছাড়ে।
" তুই এড্রেস দেয়। আমি গিয়ে দেখে আবার তোর বাসায় ফিরে আসবো। "
-
তেয়হিং এসে আহিয়ার বাসার দরজার সামনে দাড়ায়। এখনো জানে না সঠিক বাসা কি-না। নার্ভাস হয়ে দরজায় নক্ করে।
কিছু সময় যেতেই আহিয়া দরজা খুলে।
-
আহিয়া বিছানায় শুয়ে ছিলো। ভাবছিলো সে কি করবে এখন। এমন হঠাৎ দরজায় কলিং বেল এর আওয়াজ শুনে আহিয়া ঘাবড়ে যায়।
মনে করে ফোন না ধরায় হয়তো জাংকুক চলে এসেছে। আবার ভাবে যদি অন্য কেউ হয়। আহিয়া ভয়ে ভয়ে বিছানয় থেকে ওঠে নিচে চলে যায়।
মুখে আতংকের ছাপ নিয়ে দরজার সামনে যায়। দরজায় পীপহোল দিয়ে দেখে তেয়হিং। দেখে কিছুটা স্বস্তি পায়।
ভাবে ও এখানে কি করছে। জাংকুক সাথে নেই তো। যদি একা হয়। অন্য কোনে কারনে এসে থাকে তবে।
আহিয়া কিছুটা নরমাল হয়ে দরজা খুলে। তেয়হিং আহিয়াকে দেখে স্মল স্মাইল করে। আহিয়া সরে দাঁড়ায় দরজার সামনে থেকে।
" তুমি এখানে, ভিতরে আসো। "
তেয়হিং একওয়ার্ডলি ভিতরে যায়। গিয়ে আহিয়ার সাথে সোফায় বসে। তেয়হিং আহিয়ার ফেস দেখেই বুঝতে পারছিলো আহিয়া ভয় পেয়ে আছে।
" কি খাবে তেয়হিং। বলো বানিয়ে নিয়ে আসি। "
" না, না! আহিয়া তুমি বসো। আমি কিছু খাবো না। "
আহিয়া সোফায় কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে বসে। তেয়হিং খেয়াল করে নার্ভাসলি আহিয়া হাতের আঙুল নিয়ে নাড়াচাড়া করছে।
" মমম আহিয়া তুমি ঠিক আছো তো কালকে রাতে এত ড্রিংকস করার পর। "
তেয়হিং এর কথা শুনে আহিয়ার কলিজায় কামড় দিয়ে ওঠে।।
" আ আ আমি। হ্যাঁ ঠি ঠিক আছি। "
তেয়হিং ও অনেক নার্ভাস ফিল করছিলো। আহিয়া তেয়হিংয়ের তত ক্লোজ ফ্রেন্ড না। কিভাবে কথা বারাবে সে এটাই ভাবছিলো।
" আহিয়া ইয়ে মানে জাংকুক আমাকে সব বলেছে। "
আহিয়া এটা শুনে চোখ বন্ধ করে বিরক্তিকর ভাব প্রকাশ করে।
" MF কোথাকার! "
আহিয়া মিনমিন করে বলে আর তেয়হিং আহিয়ার দিকে কনফিউডলি তাকিয়ে ছিলো।
" কিছু বললে আহিয়া? "
" ন না না। এটা কি তুমি একাই জানো নাকি সবায় জেনে গিয়েছে। "
আহিয়া ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে । আহিয়ার পায়য়ের নিচ থেকে জেনো মাঠি সরে যাচ্ছিলো।
" না না। শুধু আমি জানি। আর জাংকুক আমাকে পাঠিয়েছে তুমি ঠিক আছো কিনা তা দেখতে। জাংকুক লজ্জায় তোমার সামনে আসতে চাইছিলো না। "
আহিয়া কিছু বলছিলো না। চুপ করে বসে ছিলো মাথা নিচু করে।
" জাংকুক তোমার কাছে মাফ চেয়েছে আহিয়া। ও সব দোষ নিজেকে দিচ্ছে। বলেছে তুমি মাফ না করলে ও কোনোদিন তোমার সামনেই আসবে না। তুমি আহিয়া প্লিজ জাংকুক এর সাথে একবার ফোন দিয়ে কথা বলো। জাংকুক এর অনেক মন খারাপ। "
" জাংকুক যেহেতু তোমাকে বলেই দিয়েছে তাহলে আর চুপ করে থেকে লাভ নেই। আমার মনে হয় না আমি আর জাংকুক এর সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারবো। পরীক্ষা সামনে। আমি চাইনা আমার গ্রাজুয়েশন এর রেজাল্ট খারাপ হোক। তাই তুমি বলে দিও যে পরীক্ষার আগে আমি আর জাংকুক এর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখছি না। "
তেয়হিং অবাক হয়ে যায় এটা শুনে।
" কিন্তু - "
" কোনো কিন্তু না তেয়হিং। তুমি জাংকুক কে বলে দিও আমি রাগ করে নেই। এখানে আমাদের দুজনরেই ভুলছিলো। "
" মানছি, তবুও! "
" তুমি জাংকুক কে বলে দিও যাতে ডিস্টার্ব না করে আমাকে প্লিজ। আমার ওর সাথে দেখা করার কোনো মুড নেই এখন। "
তেয়হিং দীর্ঘ শাস্ব ছাড়ে।
" আচ্ছা তাহলে আহিয়া। কোনো সমস্যা হলে, সাহায্য এর প্রয়োজন হলে জাংকুক এর পরে তুমি আমাকে ডাকতে পারো। আজকে তাহলে আসি! "
তেয়হিং ওঠে দাড়ায় আর যাওয়ার সময় আহিয়া তেয়হিং কে রিকুয়েষ্ট করে যে কালকে জিমিন এর জন্য আহিয়া যেই গিফটটা কিনেছিলো সেটা যেনো সে জিমিনকে দিয়ে দেয়।
তেয়হিং তারপর গিফটটা নিয়ে চলে যায়। গিয়ে জাংকুককে সব বললে জাংকুক কের প্রচুর রাগ ওঠে নিজের ওপর। আর চিন্তা করে আহিয়ার সময় প্রয়োজন। আহিয়ার কে তার সময় দেওয়া দরকার। তাই আহিয়ার কথা মত সে আহিয়াকে বিরক্ত করবে না বলে ভেবে নেয়।
প্রতিদিন ভার্সিটি গেলেও আহিয়া জাংকুকের সামনে ধরা দেয় না। কোনোমতে দুজন মুখোমুখি হলেও ইগনোর করে দুজন চলে যায়।
কিছুদিন এর মধ্যে জাংকুক একা ফিল করতে শুরু করে দেয়। আহিয়ার দুষ্টুমি সে মিস করতে থাকে। তাই সে তেয়হিং কে মাঝে মধ্যেই আহিয়ার বাসায় পাঠাতে আহিয়ার খোজ নেওয়ার জন্য।
জিমিন ও আহিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে আহিয়া জিমিনকে এড়িয়ে চলতো। তাই জিমিন ভাবে হয়তো পার্টিতে একসাথে ডান্স করার কারনে আহিয়া আনকমর্ফোটেবল ফিল করছে।
কিছু দিন যেতেই আহিয়া শরীর অসুস্থ হয়ে যায় খাবারের রুচি চলে যায়। কোনো কোনো খাবারের স্মেইল সে একেবারেই সহ্য করতে পারতো না। তার মনে ভয় ঢুকে যায়।
একদিন আহিয়ার শরীর খুবি দুর্বল মনে হচ্ছিলো। বিছানা থেকে ওঠতেই পারছিলো না। এমন সময় দরজায় ডোরবেল বাজলে আহিয়া কোনো মতে দেয়াল ধরে ধরে নিচে নেমে দরজা খুলে দেখে তেয়হিং। তেয়হিং আহিয়ার ফেস দেখে ঘাবরে যায়।
" আরে আহিয়া তোমার কি হেয়েছে। "
তেয়হিং বাসায় মধ্যে গিয়ে আহিয়াকে ধরে গিয়ে সোফায় বসায়। তেয়হিং আহিয়ার পাশে বসে।
" কি হয়েছে আহিয়া। শরীর ভালো না। "
" জানি না তেয়হিং। খাবার খেলেই বমি আসছে। সকাল থেকে এখনো কিছু মুখে ধরতে পারচ্ছিনা। "
তেয়হিং এই কথা শুনে চিন্তায় পরে যায়। তার মাথায় উল্টাপাল্টা ভাবনা ঘুরতে থাকে। কিন্তু এই সময়ে সে নিজেকে বলে যে আহিয়াকে সামলাতে।
" কি বলছো। তাহলে তুমি এখানে থাকো আমি বাহির থেকে কিছু কিনে আনছি। "
" ন না না। তেয়হিং -"
" জাংকুক আমাকে মেরে চানাচুর বানিয়ে ফেলবে যদি আমি তোমার খেয়াল না রাখি। আমি আসছি। "
আহিয়া কিছু বলার আগেই তেয়হিং সোফা থেকে ওঠে চলে যায়।
-
" কি ওর শরীর ভালো না। "
জাংকুক আর তেয়হিং জাংকুকের বেডরুমে বেসে আছে বিছানায়।
" হ্যাঁ। ওর নাকি বেশির ভাগ খাবারের স্মেইল পছন্দ হচ্ছে না এখন। তাই আমি গিয়ে কমলা এনে দিয়ে ওকে বললাম যে এটার স্মেইল কেমন। ওর কাছে কমলার স্মেইলটা ভালো লাগে। আর তুই জানিস না আমি ওকে কমলার রস করে দেওয়া পর্যন্ত ও কমলাটা নাকের সামনে ধরে রেখেছিলো। "
" তাই নাকি! এখন ও ঠিক আছে। "
" হ্যাঁ। কমলার রসটা খেয়ে এখন একটু ঠিক আছে। আমি রাতের রান্না করতে ওকে মানা করে দিয়েছি।বলেছি কিছু ওর্ডার করে নিতে। "
" আমাকে তো ও যেতেও মানা করেছে। "
জাংকুক মন খারাপ করে বলে।
" জাংকুক! "
" হুম বল। "
" আমার মনে হয় আহিয়া প্রেগন্যান্ট! "
------চলবে____