FF Name - Accident - Part - 3

 May be an image of 1 person and text

Let's start....
" আমার মনে হয় আহিয়া প্রেগন্যান্ট। "
জাংকুক ফেল ফেল করে তেয়হিংয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলো। জাংকুকের মন চাচ্ছিলো তেয়হিংকে গলা টিপে ধরতে।
" থাপ্পড় দিয়ে যে কয়টা দাঁত আছে ফালিয়ে দিবো যাতে জিবনেও বিয়ে করতে না পারিস। "
" আরে না। আমার বোনের এমন হয়েছিলো যখন প্রেগন্যান্ট ছিলো। ওর কমলার ঘ্রাণ অনেক ভালো লাগতো তাই আমি আহিয়ার জন্য কমলা কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। "
তেয়হিং বিরক্ত হয়ে বলে। তেয়হিং এর কথা শুনে জাংকুকের মাথার ওপর যেনো আকাশ ভেঙে পরছে।
" তুই বেশি বকিস না তো। কোনো রোগের কারনেও তো হতে পারে। "
" হুম এটাও হতে পারে। যাই হোক এখন আমি আসি। "
" আচ্ছা! "
তেয়হিং চলে গেলে জাংকুক এর মাথায় আজেবাজে কথা ঘুরতে থাকে।
তেয়হিং কথাটা যে বললো। কথাটায় যুক্তি আছে। আমরাতো কোনো প্রোটেকশন ইউজ করিনি। হয়তো আহিয়া বার্থ কন্ট্রোল করার জন্য কোনো ব্যবস্থা ও নেয়নি। নিবে কি করে, আমার তো মনে হয় না ও এইসব বিষয়ে কিছু জানে।
ক্লাবে যাওয়া তো আমার থেকে শিখেছে। যত আজেবাজে জিনিস আমিই ওকে শিখিয়েছি। যদি ও আসলেই কনসেপ্ট করে ফেলে। তখন কি হবে।
দূর ছাই মাথায় কিছু কাজ করছে না।( জাংকুক)
জাংকুক এর মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিলো। কি করবে ভেবে পাচ্ছিলো না। তাই শেষে রাতে আহিয়ার বাসায় চলে যায়।
আহিয়া বাসার দরজার পীপহোল দিয়ে জাংকুক কে দেখতে পেলে ভয়ে আর দরজাই খুলে না। জাংকুক ২০ দিন পর এই প্রথম আহিয়া মানা করা শর্তেও আহিয়াকে কল করে। আহিয়া কল ও ধরে না।
তারপর জাংকুক আহিয়ার জন্য রাতের খাবার কিনে বে বলে তেয়হিং এর বোনকে কল করে যে কোন খাবারটা ভালো হবে। কিছু জানতে চাইলে বাহনা বানিয়ে কিছু বলে দেয়।
খাবার নিয়ে তারপর জাংকুক আহিয়ার বাসার দরজার সামনে রাখে। আর কিছুটা পিছিয়ে যায়।
" আহু, আর রাগ করে থাকিস না প্লিজ। তোকে ছাড়া আমার দিন কাটছে ঠিক মত। তুই অসুস্থ জেনে অনেক খারাপ লাগছে। দরজার সামনে খাবার রেখে গিয়েছি। প্লিজ খাবারটা নিয়ে খেয়ে নিস। আর আমি অনেক সরি বলছি। আমাকে মাফ করে দিস পারলে। "
জাংকুক চিল্লিয়ে এগুলো বলে যাতে আহিয়া শুনতে পায়। আর আহিয়া ঘরের মধ্যে মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলো যে আশে পাশের মানুষ শুনছে।
জাংকুক তারপর সেখান থেকে চলে যায়। মন খারাপ করে। বাসায় গিয়ে নিজে না খেয়ে ঘুমিয়ে পরে তার মাথায় একটাই টেনশন ছিলো যে আর যাইহোক আহিয়া যনো প্রেগন্যান্ট না হয়।
আহিয়ার এরকম শরীর অসুস্থতা জেনো কোনো রোগের কারনেই হয়ে থাকে। আবার এটাও দোয়া করছিলো যাতে তার আহু তারাতাড়ি ঠিক হয়ে যায়।
পরদিন ভার্সিটি আহিয়া যায়নি। তার ভলো লাগছে না আজকেও। তাই অনলাইন ক্লাস করে নেয়। জাংকুকের আহিয়ার জন্য খুবি টেনশন হচ্ছিলো যে আহিয়া ঠিক আছে কিনা।
জাংকুক অন্যমনস্ক দেখে জাংকুক এর গার্লফ্রেন্ড মায়া তাকে এইরকম কেনো দেখাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে জাংকুক ঠিকমত উওর দেয়না।
আর এই কারনে ওদের মধ্যে একটা বিরাট ঝগরা হয়। মায়া রাগ দেখিয়ে চলে যায় আর জাংকুক চলে যায় তেয়হিং এর কাছে।
তেয়হিং কে সব বললে তেয়হিং ওকে শান্তনা দেয় যে আপদত এগুলো বাদ দেওয়ার জন্য। কারন মায়াকে সব কিছু বললে মায়া কোনো দিন ও বুঝবে না। আর আহিয়ার বিষয়টা সবার কাছে ছরাছরি করে দিবে।
এটা স্বাভাবিক, যে কোনো গার্লফ্রেন্ড শুনলেই রাগ করবে। কিন্তু মায়ার বিষয়টা আলাদা। মায়া তো আহিয়াকে সহ্যই করতে পারে না।
এভাবে চলে যায় আরো বেশ কয়টা দিন যেখানে আহিয়া মাঝে মধ্যে ক্লাস জয়েন করলে জাংকুক আহিয়াকে জেরা করত তার সাথে কথা বলার জন্য। কিন্তু আহিয়া সবাইকে এড়িয়ে চলে।
আহিয়াকে আগের থেকে আরো খারাপ দেখা যাচ্ছিলো। চোখের নিচ কালো হয়ে গিয়েছে। শুকিয়ে গিয়েছে আগের থেকে। আর অনেক দুর্বল ছিলো।
আহিয়া টেনশন ফেস নিয়ে বিছানায় বসা। গভীর চিন্তায় মগ্ন সে।
আজকে ১ মাস এর বেশি হয়ে যায় আমার পিরিয়ড হলো না। ব্যপারটা কি। আর আমার শরীর যে এত অসুস্থ। আবার এটা নয় তো-- না, না। আহিয়া তুই এগুলো কি ভাবছিস। এটা হতেই পারে না। (আহিয়া)
আহিয়া পাগলের মত করছিলো। কি করবে ভেবে পাচ্ছিলোনা। তাড়াতারি হাতে ফোন আর পার্স নিয়ে বেরিয়ে পরে। হাত পা সব ঘামতে শুরু করেছে।
তারাতাড়ি গার্লিস স্টোরে পৌঁছায়। ভিতরে গিয়ে সে প্রেগ্ন্যাসির টেস্ট করার জন্য টেস্টার টিউব কিনে। ( ভাই আমি জানি না এগুলোকে কি বলে। তার জন্য সরি। কেউ জানলে আমাকে কমেন্ট এ জানিও দিও প্লিজ।)
আহিয়া তাড়াহুড়ো করে স্টোর থেকে বের হওয়ার সময় একজনের সাথে ধাক্কা লাগে। আর হাত থেকে কাগজের ছোট পেকেট টা পরে যায় যার ভিতর থেকে প্রেগ্ন্যাসির টেস্টারট বেরিয়ে যায়।
" ওহ, সরি আমি দেখতে পায়নি। "
ছেলেটা বসে পকেট টা তুলে দেয়।
" সর- ওহ আহিয়া তুমি। "
জিমিন উজ্জ্বল হাসি নিয়ে বলে। জিমিনকে দেখে আহিয়া ঘাবড়ে যায়। আহিয়া খোপ মেরে পেকেট টা জিমিন এর হাত থেকে নিয়ে নেয়। আর নার্ভাসলও স্মাইল করে।
" হুম আমি। কেমন আছো। "
" এইতো ভালো। তুমি ঠিক আছো তো। তোমাকে দেখে অনেক অসুস্থ মনে হচ্ছে। "
" ন না না জিমিন আমি ঠিক আছি। পরীক্ষা সামনে তো। বেশি চাপ নেয়ে ফেলেছি। এখন যাই ঠিক আছে। পরে কথা হবে। "
আহিয়া জিমিনকে কিছু বলার সুযোগ দেয়না। তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যায় আর জিমিন কনফিউজড হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলো।
জিমিন তারপর পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে কল করে ছুটে যাওয়া আহিয়ার দিকে তাকিয়ে।
আহিয়া বাসায় এসে টেস্ট করলে যা দেখতে পায় তা দেখে সে খুশি হবে নাকি কান্না করবে সে চিন্তায় ছিলো। কি করবে ভাবছিলো। দুইটা লাল দাগ দেখে হাত কাপতে শুরু করে দেয়।
What! I I'm pre-pregnant (আহিয়া)
আহিয়া বাথরুমের ফ্লোরে বসে পরে ধপাস করে আর কান্না করতে থাকে। চারপাশ যেনো অন্ধকার হয়ে আসছে।
এটা কি হওয়ার ছিলো। এখন সে কি করবে। তার বাবা মাকে কি বলবে। তা ভাই বোন জানলে কি ভাববে তার ব্যপারে। যে ভাই সবসময় নিজের বোনকে নিয়ে গর্ব করে।
আর জাংকুক, জাংকুক যদি জানে তাহলে কি করবে সে। কিচ্ছু মাথায় আসছিলো না আহিয়ার। এমন সময় সে অনবরত ডরবেল বাজছে যে তার শব্দ পায়।
মনে করে জাংকুক। আবার যদি তেয়হিং হয়।দরজাটা খোলা দরকার। তেয়হিং হলে পরে গিয়ে জাংকুককে নিয়ে আসবে যে আহিয়া দরজা খুলছে না আর জাংকুক আসলে জাংকুক দরজা ভেঙেই ভিতরে ডুকবে।
এর চেয়ে ভালো নিচে গিয়ে দেখা দরকার কে এসেছে। আহিয়া ওঠে চোখে মুখে পানি দিয়ে নরমাল হওয়ার চেষ্টা করে।
তারপর হাতে একটা টিস্যু নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে নিচে নামে। পীপহোল দিয়ে দেখে তেয়হিং। দীর্ঘ শাস্ব নিয়ে আহিয়া দরজা খুলে।
" এইসময় তুমি এখানে তেয়হিং। "
" আমার কিছু কথা আছে তোমার সাথে, ভিতরে আসি। "
আহিয়া মাথা নাড়ায় যে ঠিক আছে। তেয়হিং কে দেখে খুবি চন্তিত মনে হচ্ছে। আহিয়া আর তেয়হিং গিয়ে সোফায় বসে।
" আহিয়া বেশি কথা বাড়াতে চাই না। সত্যি করে বলবে, তোমার শরীর এত অসুস্থ কেনো। কি হয়েছে তোমার। "
আহিয়া ঘাবরে যা। হাত কাপতে শুরু করে। হঠাৎ তেয়হিং এই প্রশ্ন কেনো করলো। খুবি নার্ভাস হয়ে যায়।
" সে সেটা আমি কি কি ভাবে বলবো। "
" তাহলে তুমি এখনো ডক্টর কেনো দেখাওনি। "
" আমি আম আম্মুকে কল করেছি। আমি আসলে নিয়ে যাবে। "
" তাহলে আমার সাথে চলো। আমার আঙ্কেল একজন ডাক্তার। আমি তোমাকে নিয়ে যাই। সামনে তো পরীক্ষা। তুমি এইরকম শরীর নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। "
আহিয়া মাথা দিয়ে তাড়াতাড়ি মানা করে দেয়।
" না না, তুমি কেনো কষ্ট করতে যাবে। আম্মুই নিয়ে যাবে। "
তেয়হিং আড়চোখে তাকায় আহিয়ার দিকে।
" আহিয়া মিথ্যা বলো না। "
" হুহ, মি মিথ্যা কেনো বলবো। "
" তুমি প্রেগন্যান্ট না? "
আহিয়া ফেলে ফেল করে তেয়হিংয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলো। যেনো ভূত দেকেছে। এবার আহিয়া অজ্ঞান ই হয়ে যাবে।
" আমার থেকে লুকিও না। জিমিন একটু আগে আমাকে কল করেছে। "
" জিমিন! "
Flashback ----->
" হ্যালো তেয়হিং! "
" হুম জিমিন বল। "
" এই মাত্র আমি আহিয়াকে দেখলাম বাসায় যাওয়ার পথে। "
" তো তুই আমাকে কেনো কল করেছিস! "
" শোন ত্যাড়া উত্তর দিবি না। আমি অনেক দিন যাবত খেয়াল করছি তুই আর জাংকুক আমাকে ছাড়া একসাথে বেশি সময় কাটাস। ক্লাসে বসে ফিসফিসিয়ে কথা বলিস। আর আহিয়ার সাথে যে জাংকুক এখন বেশি ঘুরাফেরা করে না এটাও আমার চোখে পরে। তাছাড়া আহিয়া ভার্সিটিতে ঠিক মত আসে পার্টির পর থেকে। একটু আগে ও একটা গার্লিস স্টোর থেকে বের হওয়ার সময় আমার সাথে ধাক্কা লাগে। আর ওর হাতের পেকেট টা নিচে পরে গিয়েছিলে। আমি ওঠিয়ে দিতে গিয়ে দেখেছি যে ও একটা প্রেগ্ন্যাসি টেস্ট করেনা একটা লম্বা সাদা লাঠির মত কিছু একটা। দূর ছাই, বলতে পারি না। ওইটা নিয়ে বাসায় যাচ্ছিলো। আর দেখে অনেক টেনস্ লাগছিলো। "
" তুই ঠিক বলছিস তো। "
" আরে হ্যাঁ ঠিক বলছি। এখন তুই আমাকে বল জাংকুক এর সাথে আহিয়ার কিছু হয়েছে? ওদিন তো আহিয়াকে জাংকুক কি বাসায় নিয়ে গিয়েছিলো। তারপর থেকে আমি তদের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। "
" আরে না! ওইরকম কিছু না, তুই যেটা ভাবছিস। আর আহিয়া হয়তো বা ওর কোনো ফ্রেন্ড এর জন্য ওইটা কিনে নিয়ে যাচ্ছে বা অন্য কোনো কারনে। তুই এগুলো বাদ। আর আহিয়া হয়তো ভার্সিটি আসে না পড়ার চাপ বেশি বলে। "
" ওহ আচ্ছা তাহলে! "
" হ্যাঁ, তাহলে রাখি। শুধু শুধু কল করে টেনশন দিলি। "
Flashback end-----<
" জিমিন কল করেছিলো "
" হ্যাঁ জিমিন। আর ও দেখেছে তুমি কি কিনে নিয়ে এসেছো। এখন সত্যি টা বলো আহিয়া। "
" ক-কি বলবো! "
" রেজাল্ট এর কথা বলবে। "
" কিচ্ছু আসে নি। "
" তুমি মিথ্যা কেনো বলছো। তোমার শরীর অসুস্থতা বলে দেয় রেজাল্ট কি। আমি এটা অনেক আগেই সন্দেহ করেছি। তাই আহিয়া সত্যি টা বলো। "
আহিয়া রাগ হয়ে যায়। আর দাড়িয়ে পরে। তেয়হিং হাত ধরে টেনে ওঠায়। আর টানতে থাকে দরজার দিকে।
" তোমার সাথে পরে কথা হবে। তুমি এখন যাও। "
তেয়হিং কে আহিয়া বের করে দরজা আটকে দেয় আর রুমের দিকে যেতে থাকে। তেয়হিং ও আর বিরক্ত করে না আহিয়া কে চলে যায় সেখান থেকে।
আহিয়া বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরে। ক্লান্ত অবস্থায় আজে বাজে চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পরে। তার মাথায় কিচ্ছু আসছিলো না যে সে কি করবে।
-
পরদিন আহিয়া ঘুম থেকে ওঠে। প্রায় বুলেই যায় কালকে রাতের কথা। আহিয়া ফ্রেশ হয়ে ভার্সিটি যাবে বলে বের হয়।
এইসব চিন্তা করে লাভ নেই আগে ভার্সিটি যাই। জাংকুক এর মুখোমুখি হলে সেটা পরে দেখা যাবে। আজকে ভার্সিটি যেতেই হবে। পরীক্ষার বিষয় এ কথা হবে। আমি চাই না আমার রেজাল্ট খারপ আসুক। (আহিয়া)
কিন্তু দরজা খুলে সে জাংকুক কে দেখতে পায়। অবাক হয়ে গিয়েছিলে। মুখের ওপর দরজা মেরে দিতে নিলে জাংকুক দরজা ধরে ভিতরে চলে যায়।
" জাংকুক! "
" হুম আমি। অনেক তো লুকিয়ে আছো, আর কত। "
জাংকুক আহিয়াকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসায়।
" জাংকুক তুই এখানে কি করছিস। "
" আমি এখানে করছি মানে। তুই আগে এটা বল যে তেয়হিং আমাকে যা বলছে তা সত্যি কি-না! "
আহিয়া চুপ করে থাকে। কিছু বলেনা।
" দেখ আহু চুপ করে থাকিস না বল। তুই যদি এখন চুপ করে থাকিস, তাহলে পরে এরা নিয়ে বিরাট সমস্যা হবে। "
" আমি তোকে কি বলবো। জানিস ই তো। আর কি বলার আছে। "
আহিয়া ধমকে বলে।
" কিন্তু এটা তো সম্ভব না। "
" কি সম্ভব না। "
আহিয়া ভ্রু কুচকে বলে।
" দেখ, আমাদের দুজনের ভবিষ্যত আছে। আর তুই প্রেগন্যান্ট। তুই এই বেবিকে সাথে নিয়ে কি ভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবি। "
" তুই কি বলতে চাচ্ছিস ঠিক করে বল। "
" তু তুই adoration করিয়ে ফেল। "
আহিয়া ঠাস করে জাংকুকে একটা চর মারে বা গালে। আর জাংকুক গাল ধরে হতবাক হয়ে আহিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
" তুই এগুলো কি বলছিস। একটা জীব হত্যার কথা বলছিস। এই তুই একটা সামান্য পিঁপড়া সৃষ্টি করতে পারবি। সৃষ্টিকর্তা আমাকে মানুষ সৃষ্টি করার ক্ষমতা দিয়েছে আর সেটায় তুই বাধা দিচ্ছিস। "
আহিয়া চোখে পানি চলে আসছিলো।
" আহিয়া কথাটা বোঝার চেষ্টা কর। আমাদের সমাজে এগুলো হয় না। তোকে অনেক লাঞ্ছনার মুখোমুখি হতে হবে। পরিবারের সার্পোট ছাড়া তুই কোনোদিন এগোতে পারবি না।
আর তুই কোনো চাকরিও করিস না। কিভাবে তুই এই বেবিকে সামলাবি। তুই দুনিয়াটা যত সহজ মনে করিস তত সহজ না। "
" কেনো এটা তো তোর ও বেবি। তুই সার্পোট করবি। তাহলেই তো হয়। "
" আমিই। সম্ভবি না। আমি মায়াকে ভালবাসি ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। "
" তাহলে এই বেবি আমি একাই সামলাবে। "
জাংকুক সোফা থেকে ওঠে দাড়ায়।
" দেখ ভালোর জন্য এসেছিলাম। তুই বেস্ট ফ্রেন্ড তাই। কিন্তুই এটাও শুনে রাখ। তুই কিন্তু কাউকে এটা বলতে পারবি না যে এটা আমার বেবি। "
" জাংকুক তুই এত খারাপ। "
আহিয়া ডিজগাস্টিং ফেস করে বলে।
" শুধু এটাই বললাম যে। Adoration করিয়ে নেয়। "
" না করবো না। "
" তাহলে আজকে থেকে তোর সাথে সব সম্পর্ক শেষ। এই বেবির দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না। আমি মায়াকে ভালো বাসি। "
" Then I will be a single MOTHER!! "
-----চলবে_____

Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments

Facebook