Let's start......
" তাহলে আমার বেবি আমি একাই সামলাবো। আমি সিঙ্গেল মা হবো। তুই যা আমার সামনে থেকে। "
" মনে থাকে যেনো। '
জাংকুক বেরিয়ে যায়।
-
আহিয়া ঘুম ছটফটিয়ে ওঠে পরে। সে দেখে সে নিজের রুমে। তাহলে এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখ ছিলো। আহিয়া তাড়াহুড়ো করে নিজের ফোন হাতে নেয়। আর তেয়হিং কে কল করে।
রিং হচ্ছিলো কিন্তু তেয় ফোন তুলছিলো না। আবারও চেষ্টা করে। এবার তেয়হিং ফোন ধরে।
" তে তেয়হিং "
" হ্যাঁ, আহিয়া কি হয়েছে। "
" তেয়হিং আমার একটা কথা রাখবে। "
" হ্যাঁ বলো। "
" তুমি প্লিজ জাংকুক কে বলো না যে আমি প্রেগন্যান্ট আর এই বেবিটা ওর। প্লিজ। তোমার পায়ে ধরছি। " (আহিয়া কান্না করতে শুরু করে দেয়।)
" আহিয়া শান্ত হয়। আমি কেনো বলবো না। "
" তুমি প্লিজ বলো না। সময় হলে ওকে আমিই বলবো। কিন্তু পরীক্ষার আগে তুমি কিছুই বলো না প্লিজ। "
" আরে বাবা আমিতো শিউর ছিলাম না যে তুমি প্রেগন্যান্ট। আমি বলিনি জাংকুক কে। এখন শিউর হলাম। "
" ভালো। কিন্তু তুমি বলো জাংকুক কে বলবে না। "
" তাহলে তুমি বলো যে তুমি জাংকুক কে নিজে বলবে। "
" হ্যাঁ, আমি নিজে বলবো। "
" আচ্ছা তাহলে টেনশন করো না। আহিয়া এই অবস্থা ট্রেস নিলে তোমার সমস্যা হবে। তুমি শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরো। "
" আচ্ছা, তুমি কিন্তু বলো না। "
" হ্যাঁ, আমি বলবো না। "
" আচ্ছা তাহলে। "
আহিয়া কলটা কেটে দেয় আর শুয়ে পরে। নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে চোখের পানি মুছে।
এটা স্বপ্ন ছিলো। যদি আসলেই জাংকুক বাস্তবেই এইসব বলে, তখন কি করবো। আর প্রতেকটা কথা জাংকুকের ঠিক ছিলো স্বপ্নে। আমি এখন কি করি। ভাইয়াকে কল করবো। ভাইয়া তো অনেক আদর করে আমাকে। না না। এইসব কথা ভাইয়াকে কিভাবে বলি। তাইলে আপুকে কল করি।
আপু নিশ্চয়ই আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দিবে।
হ্যাঁ, কালকে সকালে আপুকেই কল করে বলবো। কোনো ফ্রেন্ডকে বলা যাবে না। তাহলে অন্য কাউকে বলে দিতে পারে।
আমি জাংকুকে ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করি না। এমনি কি তেয়হিং কেও বিশ্বাস হয়, হয় না।
আপু নিশ্চয়ই আমাকে বলবে যে সে বা মাকে মেনেজ করে নিবে। সেটাই করবো। আমি আমার বেবির কোনো ক্ষতি করবো না
এটা আমার বেবি। (আহিয়া)
আহিয়া পেটে হাত বুলাতে বুলাতে ঘুমিয়ে পরে।।
-
" কি! তোর মাথা ঠিক আছে তো। "
জাংকুক ব্রেকফাস্ট করছিলো তেয়হিং এর সাথে নিজের বাসায়। খাওয়া রেখেই তেয়হিং এর দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে ছিলো।
মুখে যে খাবারটা ছিলো সেটা গিলতেও কষ্ট হচ্ছিল। এক গ্লাস পানি গড-গড করে খেয়ে নেয় জাংকুক।
" হ্যাঁ। কল দিয়ে কান্না করছিল আর বলছিল যাতে তোকে না বলি। এখন কি করবি তুই। "
" ক-কি করব, ঠিকি তো আমি কি করবো এখন। এই বল না তেয়হিং। "
" ওই কুত্তা, আমি কেমনে বলবো তুই কি করবি। "
" আমি এখন কি করি। ওই বেবিটাতো আমারি বল। আমি সুন্দর আবার আহিয়া ও অনেক সুন্দর। ভাব আমার বেবিটা কত্ত কিউট হবে। "
তেয়হিং এই কথা শুনে জাংকুকের মাথার পিছনে আলতো করে একটা থাপ্পড় মারে।
" তুই কি পাগল হয়ে গিয়েছিস। তোরা বিবাহিত না। কিন্তু বাবা-মা হতে চলেছিস। সমাজ কি বলবে। আর আহিয়া এই বেবিটাকে মানবে কি-না তার ও ঠিক নেই।"
" হুম সেটাও ঠিক! এখন আমি কি করবো সেটা বল না তেয়হিং। তুই আমার জায়গায় থাকলে কি করতি। "
" আমি তোর জায়গায় থাকলে আহিয়াকে বিয়ে করে ফেলতাম। "
তেয়হিং ডিরেক্ট চিন্তিত জাংকুকে বলে দেয় আর জাংকুক ভ্রু কুচকে তেয়হিং এর দিকে তাকিয়ে ছিলো।
" আমি আহিয়াকে বিয়ে করবো। আহিয়া আমার।তুই কেনো ওকে বিয়ে করবি। "
" আরে ওইটা তো তোর কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি। আর আহিয়া কোনো তোর না। মায়া তোর হলেও হতে পারে কারন মায়া তোর গার্লফ্রেন্ড। "
মায়া কথা শুনে জাংকুক ডিজগাস্টিং ফেস করে।
" আচ্ছা, তুই আমার মায়ার সাথে মিল দেখেছিস। "
" না! তোরা ২ দিন ভালো থাকলে পরের ৮দিনি খারাপ। শুধুই দুজনে ঝগড়া লাগিস। "
" হ্যাঁ! মায়ার সাথে আমি রিলেশন করেছি একমাত্র আহিয়া হিংসা করানোর জন্য। আমি দেখতে চাইছিলাম যে আহিয়া মায়াকে আমার সাথে দেখলে হিংসা করে কিনা। আমি আহিয়াকে ভালোবাসি তেয়হিং।
কিন্তু ভয়ে বলে ওঠতে পারিনি। যদি ও আমাকে পছন্দ না করে। আর আমি প্রপোজ করার পর ও আমার থেকে দূরে সরে যায় লাইক এখনকার মত।
তাই আমি এখনো ওকে বলিনি যে আমি মায়াকে না আহিয়াকে ভালোবাসি। "
" আমি এটা আগে থেকে জানতাম। দেখা যাচ্ছে তাহলে আমার ধারনাই ঠিক। "
তেয়হিং উজ্জ্বল হাসি নিয়ে বলে।
" কিন্তু আরেকটা কথা এতদিন মায়ার আর তোর মধ্যে যা যা হয়েছে সেগুলো? "
তেয়হিং কনফিউজড হয়ে জাংকুককে জিজ্ঞেস করে।
" জরিয়ে ধরা ছাড়া আমার আর মায়ার মধ্যে কিছুই হয়নি। ছয় মাস রিলেশন করি নামে। সপ্তাহে ছুটির দিন ও ঘুরতে নিয়ে যেতে বললে বাহানা বানিয়ে বাসায় বসে থাকতাম।
ওর সাথে আমি ভার্সিটিতেই টাইম পাস করি আহিয়ার সামনে।
এখন তুই বলবি মায়া যদি আমাকে ভালোবাসে।
সেটাও না। মায়া আমার পিছনে ঘুরে ওর মেয়ে ফ্রেন্ডদের হিংসা করানোর জন্য যে ওর একটা সুন্দর বয়ফ্রেন্ড আছে।নইলে ওরও মানে মায়ার ও বয়ফ্রেন্ড আছে।
আর আমি এত সুন্দর হয়েও কি করতে পারলাম? ছাই। আহিয়াকেই পটাতে পারলাম না। এই সৌন্দর্য দিয়ে কি করবো আমি। আচ্ছা তেয়হিং,
আমার কি আহিয়ার কাছে যাওয়া উচিত। "
" দেখ এই বিষয়ে আমি কোনো নাক গোলাতে চাই না। আমাকে আহিয়া তোকে বলতে মানা করছে। আমি তাও তোকে বলেছে।
এই বেবিটা তোদের। তুই বেবিটার বাবা আর আহিয়া হচ্ছে মা।
যদিও ওদের মধ্যে যা হয়েছে সেটা Accidentally ছিলো। কিন্তু বেবিটা দুনিয়াতে বলতে গেলে এসে পরেছে।
তোদের ভুলের কারনে তোরা বেবিটাকে কষ্ট দিতে পারিস না জাংকুক। তাই বলবো আহিয়া বলা পর্যন্ত অপেক্ষা কর। "
" হুম! "
জাংকুক দীর্ঘ শাস্ব ছাড়ে। হঠাৎ তেয়হিং এর ফোনে কারো কল আসে ফোনের দিকে তাকালে দেখা যায় জিমিন। তেয়হিং নার্ভাস হয়ে জাংকুকের দিকে তাকায়।
" জিমিন কল করেছে জাংকুক। "
" তাহলে কলটা ধর কেনো কল করেছে। "
" আমার মনে হয় ওকে সত্যিটা বলা দরকার। কারন ও আমাদের ফ্রেন্ড। আর অনেক ভালো। আমরা যদি ওকে না বলি পরে জানতে পারলে অনেক কষ্ট পাবে। "
জাংকুক চোখ দিয়ে ইশারা করে কলটা ধরার জন্য। তেয়হিং তাই করে।
" কিরে জিমিন! "
" কিছু জানতে পারলি আহিয়ার বিষয়ে। "
" হ্যাঁ পেরেছি। তুই একটু জাংকুক এর বাসায় আসতে পারবি?"
" আচ্ছা "
তেয়হিং কলটা কেটে দেয়।
-
আহিয়া ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় বসে। হাত ফোন নিয়ে বসেছিলো যে কি করবে।
না কলটা করি। যা হয় দেখা যাবে। আজকে না জানলেও কিছুদিন পর তো জানতে পারবে। তাহলে আজকে বললেই ভালো। (আহিয়া)
আহিয়া ওর আপুকে কল করে। কিছু রিং পরতেই ওর আপু কলটা ধরে।
" কিরে আহু, কেমন আছিস? "
" এইতো আপু, তুমি কেমন আছো। "
" ভালো! "
" বাসার সবাই কেমন আছে? "
" ভালো আছে আহিয়া। জাংকুক এর কি খবর। "
" জা জাংকুক এর খবর। ভালো। "
" হুম! "
" আপু তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো। "
" হুম বল আহু। "
" আপু একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছে। "
" কি! "
" কিভাবে বলবো সেটাই ভাবছি। "
" আহু তুই আমাকে বলতে পারিস। আমি তো আছি। "
" আ-আমি প্রেগন্যান্ট আপু। "
" ভালো প্রাঙ্ক ছিলো। এখন কি বলবি সেটা বল। "
" সত্যি আপু। বেবিটা জাংকুক এর। "
" একটা থাপ্পড় দিবো আহু। জাংকুক এগুলো তোকে শিখিয়ে দিচ্ছে তাই না। কোথায় জাংকুক? তোর পাশে! দেতো ফোনটা ওকে দেয়তো। "
" না আপু সত্যি বলছি, আমার কথাটা শুনো পুরো। আমি আর জাংকুক, জাংকুক এর এক ফ্রেন্ড এর পার্টিতে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশি ড্রিংকস করার পর হিতাহিত জ্ঞান ছিলোনা। আর জাংকুক এর একি অবস্থা ছিলো। তারপর সকালে ওঠে দেখি আমি জাংকুকের বাসায় আর জাংকুক পাশে। এক মাস হয়ে গিয়েছে আপু। আমার শরীর ও অনেক অসুস্থ। পিরিয়ড ডেট ওভার হয়ে গিয়েছে।
আর কা-কালে টেস্ট করে দেখলাম রেজাল্ট প-পজেটিব এসেছে। "
" তুই ফোন রাখ। আমি আজকে রাতের মধ্যে তোর বাসায় আসছি। মন চাচ্ছে এসে জুতাটা খুইল্লা তারপর তোদের বাইরাই। রাখ ফোন রাখ। "
" আ-আপু। "
আহিয়ার বোন রাগ হয়ে কল কেটে দেয়। আহিয়া আবার ও কান্না করতে শুরু করে দেয়। কি করবে সে এখন। রাতে বোন আসলে কি ওকে বাসায় নিয়ে যাবে।
না-কি জাংকুক এর বাবা মায়ের কাছে নিয়ে যাবে। কোনটা করবে সে। কিচ্ছু মাথায় আসছিলো না। এমন সময় কেউ ডরবেল বাজালে আহিয়া গিয়ে দরজা খুলে এটা ভেবে হয় তো তেয়হিং এসেছে।
কিন্তু দরজা খুলে দেখা না। তেয়হিং ছিলো না। শয়ং মায়া দরজায় সামনে দাড়িয়ে ছিলো। আহিয়া কিছু বলার আগেই মায়া আহিয়াকে ধাক্কা মেরে ভিতরে ঢুকে যায় বাসাসর।
" এই ফাজিল মেয়ে। তুই কি আর কাউকে চোখে দেখতে পাসনি। "
আহিয়াকে ড্রেসের কলার ধরে মায়া ঠাস ঠাস করে দুগালে দুইটা থাপ্পড় দেয়। আর আহিয়া নির্বাক হয়ে মায়ার দিকে তাকওয়ে ছিলো।
" মায়া এটা কেমন ব্যবহার। তুমি আমাকে মারছো কেনো? কি হয়েছে। "
আহিয়া মায়াকে ধাক্কা মেরে দুরে সরিয়ে দেয়। মায়াকে দেখেই মনে হচ্ছিলো প্রচন্ড রাগান্বিত।
" তুই জাংকুক এর সাথে নাইট স্পেন্ড করিস নি! এখন যে বকা সাজতাছিস যে কিছু জানিস না। আর শুনলাম তুই নাকি প্রেগন্যান্ট। "
আহিয়ার পায়ের নিচ থেকে যেনো মাটি সরে যাচ্ছে। মায়া এ কথা কিভাবে জানলো। তাহলে কি তেয়হিং সবাইকে বলে দিয়েছে। তেয়হিং এমনটা করতে পারলো।
" কে বলেছে আমি প্রেগন্যান্ট। তুমি এই কথা কার থেকে পেলে। "
" না হলেই ভালো। জাংকুক এর থেকে দুরে থাকতে বলেছিলাম। এখন দেখবি কি করি। সারা ভার্সিটি তে তোর সুনাম ছরাবো। ভালো হবে বল। সবাই জানবে যে তুই seduced করে জাংকুকের সাথে নাইট স্পেন্ড করেছিস। "
" প্লিজ মায়া এই কাজটা করো না। আমি রিকুয়েষ্ট করছি। সেটা একটা এক্সিডেন্ট ছিলো। আর কিছুই না। জাংকুক বা আমি কেউ নিজের sense এ ছিলাম না।
আর আমাদের ধারা একটা ভুল হয়ে গিয়েছিলো। তুমি প্লিজ কাউকে বলো না। "
আহিয়া কান্না করতে শুরু করে। কিন্তু মায়া কোনো পাত্তাই দেয় না। মায়া হেটে আহিয়ার কাছে যায় আর একহাত দিয়ে আহিয়ার কিছু চুল মুষ্টি বদ্ধ করে ধরে।
" আহহহ মায়া, ছাড়ো! "
" শোন, জাংকুক এর থেকে দূরে থাকতে বলেছিলাম। মানলি না। এখন তোর খবর সারা ভার্সিটি জানবে। "
মায়া সেখান থেকে চলে যায়।
-
জিমিন জাংকুক আর তেয়হিং একসাথে সোফায় বসে।
" তাহলে তলে তলে এই পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে আর আমি কিচ্ছু জানি না। "
" সরি জিমিন। কিন্তু তুই কাউকে বলিস নিতো এইসব কথা। "
জিমিন মুখে অন্ধকার এর ছাপ বসে যায়।
" কিরে মুখটা এমন করে ফেললি কেনো? "
" আমি হিজুনের সাথে এই নিয়ে কথা বলেছিমা। "
জাংকুক আর তেয়হিং যেনো আকাশ থেকে পরে।
" কি! তারাতাড়ি হিজুনে কল দিয়ে বল যে কাউকে যেনো না বলে। "
জিমিন মাথা নাড়িয়ে সোফা থেকে ওঠে দূরে গিয়ে হিজুনকে কল করে। এর মধ্যে তেয়হিং এর ফোনেও কল আসে আহিয়ার।
তেয়হিং কনফিউজড হয়ে কলটা রিসিভ করে। আর শুনতে পায় আহিয়া কান্না করছে। সাথে সাথে ফোন স্পিকার এর দিয়ে নেয় যাতে জাংকুক শুনতে পায়।
" তেয়হিং!! "
" হ্যাঁ, আহিয়া কি হয়েছে এভাবে কান্না করছো কেনো। "
" কি হয়েছে তুমি এটা জানতে চাও। তোমাকে না বলেছিলাম জাংকুক কে বলতে না। জাংকুক কে তুমি কেনো বলেছো। "
" আমি জাংকুকে যে বলছি এটা তুমি কিভাবে বললা না জেনে। "
" তুমি জাংকুক কে না বললে মায়া কিভাবে জানলো। জাংকুককে বলার পর হয়তো জাংকুক মায়াকে সব কিছু জানিয়েছে। যতহোক মায়াতো ওর গার্লফ্রেন্ড। ও হয়তো মায়ার সাথে শেয়ার করেছে। "
" কি!!!! মায়া জেনে গিয়েছে। "
" হ্যাঁ। এই মাত্র আমার বাসা থেকে মায়া বের হয়েছে বললো যে সারা ভার্সিটি তে এটা জানিয়ে দিবে যে আমি না-কি জাংকুক কে seduced করে ওর সাথে নাইট স্পেন্ড করেছি।
তুমি কিছু করো তেয়হিং। আমি মুখ দেখাবো কি করে। "
" আচ্ছা আহিয়া আমি দেখছি, তুমি কান্না বন্ধ করো। "
তেয়হিং কল টা কেটে দেয়। আর এমন সময় জিমিন আসে।
" কি বললো হিজুন। "
জাংকুক দাড়িয়ে জিমিনকে জিজ্ঞেস করে।
" ও বললো ও কাউকে বলে নি। "
" শালা বাটপার। ও মায়াকে এই কথা বলেদিয়েছে। "
জাংকুক এটা বলে সেখানে আর এক মূহুর্তো দাড়ায় না দৌড়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তেয়হিং আর জিমিন ও ওর পিছুনে ছুটে।
" দাড়া জাংকুক। কোথায় যাচ্ছিস। "
" আহিয়ার বাসার দিকে। মায়া হয়তো সেই রাস্তা দিয়ে আসছে। তেয়হিং তুই রাস্তার মড়ো এ থাকে। আর জিমিন চলে যা মায়ার বাসার দিকে। ওর এড্রেস ***। "
জাংকুক রাস্তায় এসে দাড়ায়। সাথে জিমিন আর তেয়হিং ও।
" শোন আমি বলছি তেয়হিং তুই ****** ওই রাস্তার মড়োটাতে দাড়াবে। সেখান থেকে মায়াকে গাড়ি চেঞ্জ করতে হবে ওর বাসায় যেতে বা ও যদি হিজুনের কাছে যায় তাও। আর জিমিন তুই মায়ার বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকবি।
যেই মায়াকে দেখবি টেনে আমার বাসায় নিয়ে আসবি। আমি আহিয়ার বাসার দিকে গেলাম। "
তেহয়িং, জিমিন মাথা নাড়ায় আর তিনজন আলাদা হয়ে যায়।
-
জাংকুক আহিয়ার বাসা পর্যন্ত চলে আসে কিন্তু মায়ার দেখা পায় না। এই পর্যন্ত এসে আহিয়ার সাথে দেখা না করে জাংকুক এর যেতে মন চাচ্ছিলো না। তাই সে আহিয়ার বাসার দরজার সামনে এসে দাড়ায়।
দরজার দিকে খেয়াল করলে দেখে দরজা লক করা না। খানিক টা খোলা। জাংকুক rapid heartbeat নিয়ে ভিতরে যায়।
কেউ নিয়ে সেখানে। তারপর জাংকুক আহিয়ার কান্নার শব্দ পায় আহিয়ার বেডরুম থেকে। জাংকুক গিয়ে আহিয়ার বেডরুমের সামনে দাড়ায়।
দীর্ঘ শাস্ব নিয়ে বেডরুমের দরজা খুলে। তারপর চোখের সামনে যা দেখতে পায় তা ছিলো জাংকুকের ধারনা বাহিরে।
" AHIA!!!! "
---- চলবে———