You Are Only My Queen - Part - 3 ( Jimin Bangla Vampire FF )

 

jimin ff

সকালে
আমি ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ১০ঃ০০ টা বেজে গেছে।আমি উঠেই লোকটার কথা চিন্তা করতে লাগলাম।
আমিঃকালকের রাতের কাহিনী টা একদমি স্বপ্ন ছিল না।কিন্তু যদি স্বপ্ন না হয় তাহলে কামড়ের দাগ ছিল না কেন?উফ আমি আর পারছি না।
আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলাম।কারন আমার মাথাটা খুব ব্যথা করছে।
ঠিক এমন সময় জানালা দিয়ে একটা কাগজ এসে আমার হাতে পরল।
আমি কাগজ টা হাতে নিয়ে দেখলাম কিছু লিখা আছে।আমি পড়ার শুরু করলাম।
"ময়নাপাখি কেন অযথা আমাকে নিয়ে চিন্তা করে নিজের মাথার ব্যথা বাড়াচ্ছো?যখন সময় আসবে তখন আমি নিজেই তোমার সামনে আসবো।আর হা আজকে কোথাও বের হবা না কারন তুমি অসুস্থ। "
চিরকুটটা পড়ে আমার রাগ হলো।
আমিঃবেডা বজ্জাত,অসভ্য, বাদর,কুমির,লাল ইদুর,কালা কুত্তা,পেত্নীর জামাই,লাল তেলাপোকা,হলুদ বিলাই।তোর কোনদিনও বিয়ে হবে না।তোর কপাল পেত্নি বউ জুটবে।
এইসব বলতে বলতে আমি ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।
অন্যদিকে কেউ একজন আমার এসব বকা শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
লোকঃপাগলি একটা।(হাসতে হাসতে)
এই বলেই লোকটাও ওখান থেকে চলে গেলো।
আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নিচে খেতে চলে গেলাম।
আমিঃকি বানাইছো রহিম চাচা?
রহিম চাচাঃতোমার লাইগা সবজি সিদ্ধ করছি আর ব্লাক কফি।
আমিঃনা আজকে আমার বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা করছে।তাই এখন বিরিয়ানি রান্না করবে।
রহিম চাচাঃআচ্ছা।
আমিঃতা চাচিরে বল রান্না করতে আমি আমার রুমে আছি।
রহিম চাচাঃআইচ্ছা আম্মা।
আমি রুমে যেতেই রুশা কল করলো।
রুশাঃওই পেত্নি কেমন আছিস?
আমিঃভালো। তুই কেমন আছিস?
রুশাঃভালো।তুই কি আজকে সারাদিন বাসায় থাকবি?
আমিঃকেন?
রুশাঃচল না আমি আর তুই একটু ঘুরে আসি?
আমিঃআচ্ছা। কখন বের হবি?
রুশাঃএই তো এখনি বের হব।
আমিঃঠিকাছে আয়।
কল রেখে আমি রেডি হতে যাবো ঠিক এমন সময়ই আবার কল আসলো।
আমিঃকে বলছেন?
অচেনাঃতোমাকে বলেছিলাম কোথাও বের না হতে।(রাগি সুরে)
আমি বুঝলাম এটা রাতের লোকটা।
আমিঃআপনি বললেই আমি শুনবো কেন?আপনি কে আমার?যত্তসব অসভ্য লোক।
লোকঃতুমি যদি আমার কথা না শুনো তাহলে আজকে রাতে তোমার সাথে যা হবে তার জন্য আমি দায়ী থাকব না।
এই বলেই লোকটা কল রেখে দিল।
আমি বেক্কলের মতো মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছি।
আমিঃএখন আমি কি করবো?আমি কি লোকটাকে ভয় পাচ্ছি?না না এটা কি করে হয়!যেই আমি কাউকে ভয় পাই না সেই আমিই কিনা লোকটাকে এতো ভয় পাচ্ছি?
না না এটা হতে পারে না।আমি যাবই।না থাক আজকে আর যাবো না।দূর ভাল লাগে না।থাকবই না এই দেশে।বাল।
এই বলেই আমি রুশাকে কল দিলাম।
রুশাঃকই তুই?
আমিঃশুন না আমি না বের হব না।
রুশাঃকেন?(অবাক হয়ে)
আমিঃএমনি।একটা কাজ কর না তুই আর মেহেক আজকে আমার বাসায় চলে আয়।একসাথে মজা করবো।
রুশাঃহুম।ঠিকাছে।আমরা আসছি।
আমি কল রেখে নিচে গেলাম।
আমিঃরহিম চাচা আমার দুইটা ফ্রেন্ড আসবে তারা আজকে থাকবে।তারা একটু পরেই চলে আসবে।তাদের জন্য সব রকম ভালো পদ রান্না করবা।
রহিম চাচাঃআইচ্ছা আম্মা।আম্মা তোমার বিরিয়ানি হইয়া গেছে।
আমিঃএখন আর খাবো না ভালো লাগতাছে না।
রহিম চাচাঃকিন্তু আম্মা তুমি তো কিছুই খাও নাই।তোমার ভাইয়ারা হুনলে আমারে মাইরা লাইবো।
আমিঃআহ চাচা কিচ্ছু হবে না।
আমি সোফায় বসে বসে চিপস খাচ্ছি আর কার্টুন দেখছি।
এমন সময় আমার কল আসলো।
দেখলাম রুশা কল করেছে।
আমিঃকই তোরা?
রুশাঃতোর বাসার সামনে।
আমিঃভিতরে আয়।
রুশাঃতোর বডিগার্ডরা আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
আমিঃওদের কাছে দে তো
রুশা ওদের কাছে দিল।আমি ওদেরকে বললাম তাদের বাসায় ঢুকতে দিতে।তারাও আমার কথা মতো কাজ করলো।
আমি দরজা খুলতেই রুশা আর মেহেক আমাকে জড়িয়ে ধরল।
রুশাঃকেমন আছিস?
আমিঃভালো। তোরা কেমন আছিস?
রুশাঃভালো।
মেহেকঃবাহ বাহ কতো বড় বাড়ী তোর!!আর এই বাড়ীতে তুই একা থাকিস!!
আমিঃএকা থাকি না তো।আমার সাথে রহিম চাচা,চাচি আরও কতোজন থাকে।
মেহেকঃও আচ্ছা।তা তোর ভাইয়ারা কই?
আমিঃওরা তো লন্ডনে।অনেক কথা হয়েছে যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
রুশা আর মেহেকঃওকে জানু।
আমি ওদেরকে আমার রুমে নিয়ে গেলাম কারন আজকে আমরা তিনজনই একসাথে আমার রুমে থাকবো।
আমিঃদেখি আজকে ওই বজ্জাত লোক কি করে আসে!(মনে মনে)
অন্যদিকে
লোকঃতুমি যতই আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করবে ততই আমি তোমার কাছে যাবো ময়নাপাখি।আমার এই রানি শুন্য রাজ্যে তোমাকে যে খুব প্রয়োজন ময়নাপাখি।তুমি শুধুই আমার তোমার দিকে যেই নজর দিবে তাকেই আমি শেষ করে দিব।আর আমি না চাইলে তুমি কখনোই আমাকে তোমার কাছে যাওয়ার থেকে আটকাতে পারবে না।#you_are_only_my_queen..
In london
একটা লোককে একটা চেয়ারের সাথে বেধে রাখা হয়েছে। তার হাত পা চোখ সব বেধে রাখা হয়েছে।লোকটা আর কেউ নয় আমার ভাইয়ার কোম্পানির ম্যানেজার জয়নাল।তাকে এখানে আনা হয়েছে আমার বড়ভাইয়ার নির্দেশে।
জয়নালঃস্যার আমি কিছুই করি নাই।আমাকে ছেড়ে দিন।
বড়ভাইয়াঃকি করে ছেড়ে দেই বল তো?আমি যে বিশ্বাসঘাতকদের একদম বাচতে দেই না।
জয়নালঃস্যার এবারের মতো মাফ করে দিন আর কখনও হবে না।
ভাইয়া লোকটাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তার মাথায় শুট করে দিল।
বড়ভাইয়াঃ জ্যাক বডিটা আমার কুকুরদের খাইয়ে দাও।
জ্যাকঃওকে বস।কিন্তু বস আপনার ভাই আর বোন যখন জানতে পারবে তখন কি হবে?
বড়ভাইয়াঃতাদের আমার ওপর বিশ্বাস আছে যে আমি কোনদিনও কোন নিরীহ মানুষকে খুন করব না।যাদেরকে আমি খুন করি তারা সবাই খারাপ।তাই তারা কিছুই বলবে না।
জ্যাক আর কিছু না বলে বডি নিয়ে চলে গেলো।

 
 
রাতে
আমি,রুশা আর মেহেক আমরা সারাদিন অনেক মজা করলাম।আমরা তিনজনে বাড়ির ১২ টা বাজিয়ে দিয়েছি।আমরা তিনজন এখন সোফায় বসে চিপস খাচ্ছি আর কার্টুন দেখছি।
ঠিক এমন সময় আমার কল আসলো। দেখলাম আমার বড়ভাইয়া ভিডিও কল করেছে।।আমি কল ধরলাম
আমিঃহাই ভাইয়া।কেমন আছ?
ভাইয়াঃভালো।তুই কেমন আছিস টুকু??
আমিঃভালো। ছোটভাইয়া কই?
ছোটভাইয়াঃআমি এখানে মিস্টি।
আমার সাথে রুশা আর মেহেক ও বসে ছিল তাই ভাইয়ারা ওদেরকেও দেখছে।
বড়ভাইয়াঃওই মেয়ে গুলা কে টুকু??
আমিঃভাইয়া ওরা আমার ফ্রেন্ড। দাঁড়াও দেখাচ্ছি।
এই বলে আমি মেহেকের সামনে মোবাইলটা ধরলাম।
আমিঃমেহেক আমার বড়ভাইয়া।
মেহেকঃমোবাইলের দিকে তাকিয়ে সালাম দিল তারপর আবার কার্টুন দেখা শুরু করে দিল।আমি বুঝতে পারলাম মেহেকের এখন শুধুই কার্টুনের দিকে মনোযোগ।
তাই আমি ভাইয়ার সাথে কথা বলতে লাগলাম।
আমিঃকেমন দেখলে ভাইয়া?
আমার এই কথাটা রুশা খেয়াল করেছে।তাই আমার দিকে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসার চোখে তাকিয়ে আছে।
আমি ইশারায় বললাম পরে সব বলছি।
বড়ভাইয়াঃকি কেমন দেখলাম?
আমিঃমেহেককে?
বড়ভাইয়াঃভালোই।
এই কথাটা বলেই মুচকি হাসল।
আমিঃতার মানে আমার ভাইয়াও কোনমেয়েকে খেয়াল করল!(দুস্টু হেসে)
বড়ভাইয়াঃবাদ দে।এখন বল তোর দিনকাল কেমন চলছে?
আমিঃভালোই। তা ছোটভাইয়ার কাছে দাও তো।
বড়ভাইয়াঃএই নে।
আমিঃকি কর ছোটভাইয়া??
ছোটভাইয়াঃমিস্টি আমি আর ভাইয়া তোর সাথে একটু পরে কথা বলি কারন কালকে একটা মিটিং আছে।প্লিজ রাগ করিস না।আমরা একটু পরে তোকে কল করছি।
আমার খুব রাগ হলো।
আমিঃতোমাদের আর কল করা লাগবে না।
এই বলেই কল কেটে দিলাম।
রুশাঃকি হলো
আমিঃকিছু না।চল আমরা খেয়ে শুয়ে পরি।অনেক রাত হয়ে গেছে।রহিম চাচাও অনেকবার খেতে ডাকল।
মেহেকঃহুম চল।
এই বলে আমরা তিনজন খেয়ে রুমে চলে আসলাম।
এসে আমরা সবাই শুয়ে পরলাম।আমি আর রুশা সাইডে আর মেহেক মাঝখানে শুলো।
আমি মন খারাপ করে শুয়ে আছি।ভাইয়ারাও অনেক বার কল করেছে ধরি নাই।
আমি কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।
রাত ৩ঃ৩০
আজকেও লোকটা এসেছে।আমি ঘুমের মধ্যেও বুঝতে পারলাম।তাই চোখ খুললাম।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।কারন লোকটার আর আমার মধ্যে একচুলেরও ফাক নাই।লোকটার গরম নিঃশ্বাস আমার মুখের ওপর পরছে।আমি লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি।লোকটার চোখগুলা দেখলেই কেমন জানি একটা ঘোর লেগে যায়।আমি তারাতারি করে চোখ নামিয়ে নিলাম।
আমিঃআপনি আজকেও এসেছেন?(ফিসফিস করে)
লোকটা আমার ফিসফিস কথা শুনে হেসে দিল।
তারপর লোকটাও ফিসফিস করে বলল
লোকঃকি করবো তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছিল।তাই চলে এলাম।
আমিঃদেখুন আপনি এখান থেকে যান।আমি সহ্য করতে পারি না আপনাকে।যান প্লিজ এখান থেকে।আর কোনদিনও আমার সামনে আসবেন না প্লিজ।
আমি এই কথাগুলা বলে লোকটার দিকে তাকালাম।লোকটার মুখ দেখা না গেলেও চোখগুলা লাল হয়ে আছে।
আমার কেমন জানি ভয় হতে লাগলো।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই লোকটা আমার ঠোটে তার ঠোট ডুবিয়ে দিল।
আমার চোখ দুটো বড় হয়ে গেলো। আমি প্রানপন চেষ্টা করছি ছুটার কিন্তু আমার মতো শুটকির কি আর এই ক্ষমতা আছে যে আমি এই বডিবিল্ডার বজ্জাতের কাছ থেকে ছুটতে পারবো। অনেকক্ষন চেষ্টা করার পরও পারলাম না।আমার শক্তি সব শেষ হয়ে গেছে।তাই আমি থেমে গেলাম।
প্রায় ১০ মিনিট পর আমাকে ছাড়ল।
আমি হাপাতে লাগলাম।
আমিঃআপনি কি মানুষ? বজ্জাত লোক একটা (রেগে হাপাতে হাপাতে)
লোকঃআর যদি কোনদিন আমাকে এসব কথা বলেছ তাহলে এর চেয়ে কঠিন শাস্তি পাবে।
এই বলে চলে যেতে লাগলো। কি ভেবে যেন আবার ফিরে এলো।
লোকঃআজকে তোমার ফ্রেন্ডদের জন্য আমি তোমার কাছে থাকতে পারলাম না।কিন্তু কালকে যদি এমন কর তাহলে কিন্তু তোমার খবর আছে।আমার ঘুম হারাম করে তুমি শান্তিতে থাকতে পারবা না ময়নাপাখি।
বলেই চোখ মেরে চলে গেল।
আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি।আমি ঘুমাতে যাবো ঠিক তখনি
রুশাঃকে ছিল লোকটা?
আমি ঠাস করে উঠে বসে গেলাম।আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।রুশাও উঠে বসল।
রুশাঃমেহেক ঘুমিয়ে আছে।এখন বল লোক টা কে?
আমিঃআমি জানি না।
রুশাঃকি!!!!!!
আমিঃহুম।
তারপর আমি রুশাকে সব বললাম।রুশা শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
আমিঃআমার জান যাচ্ছে আর তুই হাসচ্ছিস?(রেগে)
রুশাঃতার মানে আমাদের Y/N ও কাউকে ভয় পায়।
এটা বলেই আবার হেসে দিল।
আমিঃহয়েছে এবার ঘুমা।
রুশাঃহুম।
এই বলে আমি আর রুশা ঘুমিয়ে গেলাম।
In london
বড়ভাইয়াঃকিরে তোর হলো?
ছোটভাইয়াঃহুম শেষ চল।
বড়ভাইয়াঃটুকু যদি একবার জানতে পারে তাহলে কথা বলাই বন্ধ করে দিবে।
ছোটভাইয়াঃতার জন্যই তো এতো চকলেট নিয়েছি।
বড়ভাইয়াঃআচ্ছা তারাতারি চল।
ছোটভাইয়াঃ হুম চলো।
এই বলে আমার দুইভাই বের হয়ে গেলো এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য। কারন ওরা আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য।
এরজন্যই কালকে আমার সাথে এমন করলো।
তারা দুইজনে ফ্লাইটে উঠে গিয়েছে।আর মাত্র কিছুক্ষন পর ওরা আমার কাছে চলে আসবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments

Facebook