You Are Only My Queen - Part - 5 ( Jimin Bangla Vampire FF )

 

jimin ff

 
রাত ১ঃ৫০
আমি বসে আছি আমার রুমে আর ছোটভাইয়া আমার মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে।
আমিঃভাইয়া আর না।এবার তুমি বসো আমি দিয়ে দিচ্ছি।
বড়ভাইয়াঃআর আমাকে কে দিয়ে দিবে?
আমিঃআমিই দিয়ে দিব।তোমরা দুইজনেই বসো।
আমি তারপর আমার দুইভাইয়ার মাথায় তেল দিয়ে দিলাম।
(আপনারা হয়তো ভাবছেন যে স্মার্ট ছেলেরা মাথায় তেল দেয় না তাহলে মনে হয় আমার ভাইয়ারা আনস্মার্ট। একদমি তা না আসলে আমার ভাইয়ারা ওদের চুলের প্রতি অনেক যত্নশীল তাই তারা রাতে চুলে তেল দেয় সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলে)
আমিঃযাও তোমাদের মাথায় তেল দিয়ে দিলাম এবার যাও আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
ছোটভাইয়াঃআচ্ছা ঠিক আছে।তুই শুয়ে পর আমি লাইট অফ করে যাচ্ছি।
আমিঃতুমি যাও আমি লাইট অফ করবো।
ছোটভাইয়াঃআচ্ছা।
এই বলে ভাইয়ারা আমার কপালে চুমু দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
আমিঃআজকে কি আবার লোকটা আসবে নাকি?আজকে আমি ওই লোকটার মুখ দেখবই।
এসব ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।
রাত ২ঃ০০
একটা মেয়েকে কয়েকটি ছেলে হাত পা বেধে নিয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই তাদের সামনে একটা লোক চলে আসল।লোকটা কালো কালারের হুডি পরা ছিল আর মুখে মাস্ক ছিলো।
লোকটা আর কেউ না Jimin ।
Jimin: কই নিয়ে যাচ্ছিস মেয়েটাকে?
ছেলেগুলাঃতুই কে রে?
Jimin :আমি কে তা তোদের না জানলেও চলবে।আগে মেয়েটাকে ছাড়।
ছেলেগুলাঃছাড়ব না কি করবি রে তুই?
কথাটা বলতে দেরি হয় কিন্তু Jimin এর মারতে দেরি হয় না।
সে সব গুলাকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দিল।
তারপর মেয়েটাকে উঠিয়ে হাত পায়ের বাধন খুলে দিলো।
Jimin : এতো রাতে একটা মেয়ে হয়ে তুমি রাস্তায় কেন বের হয়েছো?
মেয়ে কিছু বলার আগেই ছেলেগুলা সব উঠলো।
তা দেখে Jimin ছেলেগুলার কাছে গিয়ে তার সরু দাত দিয়ে সবগুলার গাড়ে কামর বসিয়ে দিল।ওরা সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পরলো।
তারপর Jimin আবার মেয়েটার কাছে এলো।
চল আমি তোমাকে তোমার বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসি।
মেয়েটা এমনি Jimin এর এই রুপ দেখে ভয় পেয়ে আছে।তাই আর কিছু না বলে Jimin এর সাথে যেতে লাগলো।
মেয়েটাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে Jimin এবার আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল।
Jimin: আমি আসছি ময়নাপাখি।
রাত ৩ঃ৫০
Jimin রুমে ডুকতেই আমার ঘুম ভেঙে গেলো।
আমিঃরাতে রাতে এসে আমার ঘুম না ভাঙালে আপনার শান্তি লাগে না তাই না?
Jimin: আসলেই তাই।
আমি এবার উঠে বসলাম।
আমিঃআচ্ছা আপনি আমাকে কোথায় দেখেছেন বলেন তো?
Jimin : সেটা তো পরে জানতে পারবে।এখন বল তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
আমিঃকোন প্রশ্নই ওঠে না আপনাকে ভালোবাসার।আপনার মতো একটা যাকে কিনা আমি এখন পর্যন্ত দেখিই নাই।যার নিজের চেহারাটা দেখানোর সাহস পর্যন্ত নাই আমি এমন একজনকে ভালোবাসবো আপনি ভাবলেন কি করে!
Jimin আমার কোমর জড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে নিল।তারপর আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল
Jimin: তুমি কেন আমাকে রাগানোর চেষ্টা করো বল তো?আমি রাগলে তোমারই ক্ষতি।
এই বলেই আমার কানে আস্তে একটা কামর দিল।তারপর আমার চুলগুলা সরিয়ে আমার গাড়ে মুখ ডুবালো।
Jimin এর ছোয়ায় আমি কেপে উঠলাম।তারপর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু আর পারলাম কই।
Jimin: মুরগীর মত এমন ছটপট করছো কেন?তুমি কি আমার সাথে পারবে বলো?
আমি অসহায় মুখ করে Jimin এর দিকে তাকালাম।Jimin ঠাস করে আমার গালে একটা কামর দিল।
আমিঃআহহহ।
আমি এবার কান্না করে দিলাম।কারন কামরটা আস্তে দিলেও আমার ব্যথা লেগেছে।
Jimin উত্তেজিত হয়ে আমাকে ছেড়ে আমাকে বসালো। তারপর যেই জায়গায় কামর দিয়েছে ওই জায়গায় একটা কিস করে দিল।
Jimin: আসলে আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাই নাই।(কান্নার সুরে)এখনো ব্যাথা হচ্ছে।(অশান্ত হয়ে)
আমি দেখছি আর ভাবছি
আমিঃলোকটা আমার কথা এতো ভাবে, আমার এতো কেয়ার করে কিন্তু আবার নিজেই ব্যথা দেয়।পাগল লোক একটা।
(মনে মনে)
Jimin : আমি পাগল ছিলাম না পাগল হয়েছি তোমার জন্য।
আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি।
Jimin: যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরো।
আমি কোন কথা না বলে চুপচাপ ঘুমিয়ে পরলাম।একটু পরে লোকটাও এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল।
আমি আর কিছু বললাম না।কারন আমি জানি এই বজ্জাতরে বইল্লা কোন লাভ নাই।
Jimin: মনে মনে আমাকে গালি দিয়ে আমার ঘুমটা ভাঙার প্লেন করেছো নাকি।শুনো আমি যদি ঘুমাতে না পারি তাহলে তুমিও কিন্তু ঘুমাতে পারবে না।তাই গালি না দিয়ে ঘুমাও।
এই বলে Jimin আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো।
কোন উপায় না পেয়ে আমিও ঘুমিয়ে গেলাম
in Park vila
নিহালঃবাবা এগুলা কি বলছো!!!
কথাঃহুম বাবা এটা কি করে হতে পারে!!
আরহামঃকেন হতে পারে না।তোমরাও তো একজন মানুষ আর একজন ভ্যাম্পায়ার। তাহলে ওদের মিল হতে পারে না কেন?
নিহালঃকিন্তু বাবা Jimin এর যেই রাগ.....
আরহামঃতুমি তোমার ছেলেকে কোনদিন রাতে ঘুমাতে দেখেছো?কিন্তু Y/N আসার পর থেকে ও রাতে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে তাও Y/N র কাছে গিয়ে।
নিহালঃকিন্তু Jimin Y/N কে দেখছে মাত্র দুইদিন হইলো।
রুশাঃনা ভাইয়া Y/N কে দেখেছে আরও দুইমাস আগে।
পিছন থেকে রুশা বলে উঠে।
কথা আর নিহালঃমানে!!!!!
আরহামঃহুম। Jimin দুইমাস আগে কয়েকদিনের জন্য লন্ডনে গিয়েছিলো তখন ও সেখানে Y/N কে প্রথম দেখে।আর Y/N কে দেখা মাত্রই ওর চোখ স্থির হয়ে যায়।চোখের আগুন নিভে যায়।মন শান্ত হয়ে যায়।
নিহালঃকিন্তু বাবা এটা কি করে সম্ভব। বইয়ে লেখা আছে যে Jimin কোন সাধারণ মেয়ের প্রেমে পরতেই পারে না।
রুশাঃY/N কোন সাধারণ মেয়ে না আব্বু।ও আর ওর ভাইয়ারা কোন সাধারণ মানুষ না আর সেটা শুধু ওর ভাইয়ারা জানে।Y/N এই সম্পর্কে কিছুই জানে না।ওদের তিন ভাইবোনেরই একধরনের ক্ষমতা আছে।আর তা না হলে তুমি ভাবো বাবা আমরা কিন্তু কোন সাধারন মানুষের সাথে থাকতে পারি না শুধু মা ছাড়া। কিন্তু আমি আর মেহেক Y/N এর সাথে একরাত থেকেও এসেছি কিন্তু Y/N এর কোন ক্ষতি হয় নাই।আর ভাইয়া তো প্রতিদিনই থাকে।যদি Y/N কোন সাধারন মেয়ে হতো তাহলে ওর কোন ক্ষতি হত।কিন্তু Y/N এর কিন্তু কোন ক্ষতি হয় নাই।
কথাঃকিন্তু Jimin এর যখন রাগ হয় তখন সে অত্যন্ত ভয়ংকর হয়ে উঠে।তখন যদি মেয়েটার কোন ক্ষতি করে ফেলে!
আরহামঃএমনটা কখনও হবে না কারন তোমার ছেলে সব সহ্য করতে পারলেও Y/N এর কস্ট সহ্য করতে পারে না Y/N এর চোখের পানিই তার দূর্বলতা।
নিহালঃসব বুঝলাম।এখন দেখা যাক কি হয়।
কথাঃহুম।
 
 
 
সকালে
আমি এখনও ঘুমিয়ে আছি।আমার রুমের দরজা ভিতর থেকে লক করা ছিল।
কিন্তু আমার ভাইয়াদের কাছে আমার রুমের এক্সট্রা চাবি আছে।
সেই চাবি দিয়ে আমার দুইভাই আমার রুমে ডুকে আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু আমার উঠার কোন নামি নেই।
ছোটভাইয়াঃমিস্টি উঠ না।দেখ তোকে ভার্সিটিতে যেতে হবে।প্লিজ উঠে পর।
বড়ভাইয়াঃটুকু তুই কি উঠবি নাকি আমরা না খেয়ে অফিসে চলে যাব।
আমিঃনা না এই তো ফারিয়া উঠে গেছে।(কেবলামার্কা হাসি দিয়ে)
আমার কথা শুনে ভাইয়া হেসে দিল।
ছোটভাইয়াঃতারাতারি ফ্রেশ হয়ে নে।আমি আর ভাইয়া তোকে নিয়ে ভার্সিটিতে যাব।
আমিঃতোমরা যাবে আমার সাথে?
বড়ভাইয়াঃহুম।
ছোটভাইয়াঃআমি তো সত্যিই তোকে দিয়ে আসতে যাব।কিন্তু ভাইয়া কি শুধুই তোকে দিয়ে আসতে যাবে নাকি অন্য কিছু.......
বড়ভাইয়াঃছোটু তুই কিন্তু এবার আমার হাতে মার খাবি।
আমিঃবড়ভাইয়া তুমি কি মেহেককে দেখতে যাবে নাকি?
বড়ভাইয়াঃইয়ে মানে ওই আরকি..(হালকা হেসে মাথা চুলকে)
আমিঃহয়েছে হয়েছে।এখন তোমরা নিচে যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
ভাইয়ারাঃতারাতারি চলে আসিস।
আমিঃহুম।
এই বলেই ভাইয়ারা আমার গাল টেনে নিচে চলে গেলো।
আমিও ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হতে লাগলাম।
আজকে আমরা তিনভাইবোন এক কালারের শার্ট -প্যান্ট পরবো।
আমি রেডি হয়ে নিচে গেলাম।
আজকে আমরা তিনজনই কালো কালারের শার্ট আর সাদা কালারের প্যান্ট পরলাম।
চুলগুলা একসাইডে এনে নিচের
দিকে জুটি করলাম।
হাতে ঘড়ি আর পায়ে স্পোর্টস শু।
চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক।
আমি নিচে নামতেই রহিম চাচা আমারে দেখে বলল
রহিম চাচাঃবাহ আইজ্জা আম্মারে খুবই ভালা লাগতাছে।
চাচিঃহ তিনভাইবোনেই আজকে একরকম জামা পরছে।
বড়ভাইয়াঃটুকু তোকে তো আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।
ছোট ভাইয়াঃহুম অনেক সুন্দর লাগছে রে তোকে।
আমিঃথানকুউউউউ।।
বড়ভাইয়াঃচাচা আমি আপনাকে তিনটি R15 আনতে বলেছিলাম এনেছেন?
আমিঃকিইইইই!!!আমরা আজকে তিনজনেই আজকে বাইকে করে যাব।ইয়াহুউউউউউ
ছোটভাইয়াঃহইছে হইছে পাগলি।এবার আয় তো আমাদের মাঝখানে।তোকে খাইয়ে দেই।
বড়ভাইয়াঃহুম তারাতারি বস টুকু। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আমিঃহুম
বড়ভাইয়াঃরহিম চাচা,চাচি তোমরাও বসে খেয়ে নাও।
রহিম চাচাঃতোমরা আগে খাইয়া লও তারপর খামু।
আমিঃতোমাদেরকে কেউ জিজ্ঞাসা করে নাই।তারাতারি খেতে বসো।( চোখ রাঙিয়ে)
ছোটভাইয়াঃতোমরাও তো আমাদের পরিবারেরই একজন। তারাতারি খেতে বসো।
রহিম চাচা আমাদের আড়ালে চোখ মুছে চাচিকে নিয়ে আমাদের সাথে খেতে বসলো।
চাচিঃতোমরা অনেক ভালা.(কান্নার সুরে)
আমিঃঠিকাছে এবার খেতে বসো।
এরপর আমরা তিনজনে খেয়ে বাইক নিয়ে বের হয়ে পরলাম।
আমরা তিনজনই বাইক চালাতে খুবই অভিজ্ঞ তাই আমরা খুব স্পিডেই চালাচ্ছি।আমাদের অনেক পিছনে আমাদের বডিগার্ডস।
বলতে গেলে আমরা আজকে তিনজনই আজকে রেস করছি।
আমরা তিনজন একসাথেই আছি মানে একতালেই চালাচ্ছি তিনজনে।
আমরা তিনজনই জানি যে আমরা একসাথে ভার্সিটিতে ডুকব।
কারন সবসময় এমনি হয়।
in Park vila
নিহাল খান নিজের রুমের সোফায় বসে আছে আর কি জানি চিন্তা করছে।
কথা খান রুম এ এসে দেখে নিহাল খান কি জানি চিন্তা করছে।
কথাঃতুমি কি ফারিয়ার কথা চিন্তা করছো?
নিহালঃহুম।আচ্ছা রুশাকে একটু ডাক তো।
কথাঃকেন??
নিহালঃআমার Y/N আর Jimin এর সম্পর্কে কিছু জানার আছে।
কথাঃআচ্ছা আমি ডাকছি।রুশায়ায়ায়ায়ায়ায়া
রুশাঃকি হয়েছে মা ডেকেছো?
কথাঃহুম।তোমার বাবার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
রুশাঃবল বাবা।
নিহালঃআচ্ছা রুশা Y/N এর বাবা মার নাম কি?
রুশাঃY/N আমাকে বলেছিল তার বাবার নাম নুরে আলম সিদ্দিকী আর মায়ের নাম পারভীন সিদ্দিকী।
নিহাল আর কথা আমার বাবা মার নাম শুনে চমকে উঠলেন।
নিহালঃকি বলছো তুমি রুশা!!!!!
কথাঃআর কিছু জানো?
রুশাঃনা মা আমি ওর মাইন্ড পড়তে পারি নাই।কিন্তু কেন এমনটা হলো আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।
নিহালঃY/N এর মাইন্ড একমাত্র Jimin ই পড়তে পারবে।রুশা তুই এখন যা আর তোর দাদুকে বল এখানে আসতে।
রুশাঃ হুম।প
রুশা চলে গেলো আর দাদুকে পাঠিয়ে দিল।
আরহামঃকিরে আমাকে ডেকেছিস?
নিহালঃবাবা তুমি কি জান Y/N কাদের মেয়ে??(উত্তেজিত হয়ে)
আরহামঃতুমি ভুলে যেও না নিহাল আমার এই দুনিয়ার কোনকিছুই আমার অজানা নয়।
 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments

Facebook