আমি আর আমার ভাইয়ারা একসাথেই গেইট দিয়ে ডুকলাম।সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।আমার ভাইয়াদেরও আজকে সেই লাগছে।
আমার বড়ভাইয়া আর ছোটভাইয়াও আজকে কালো শার্ট আর সাদা প্যান্ট পরেছে।
আমার দুইভাইয়ের চুলগুলা একসাইডে স্পাইক করা।হাতে ঘড়ি।
সব মেয়েরা আমার ভাইয়াদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
তারপর আমি আর ভাইয়ারা বাইক পার্ক করে আমরা তিনজনে একসাথে হলাম।
আমাকে দেখে মেহেক আর রুশা আমার কাছে আসলো।
আমার বড়ভাইয়া তো মেহেকের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু আমার ছোটভাইয়াকে দেখে রুশার রাগ উঠে গেল। কারন ও ওইদিনের ধমক টা সে এখনও ভুলতে পারে নাই।
কিন্তু কিছু বলল না।চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে নিলো।
আজকে রুশা আর মেহেককে সেই লাগছে।ওরা দুইজনই আজকে কালো কালারের চুরিদার পরেছে।
চুলগুলা ও খোলা রেখেছে। চুলগুলা খোলা রাখাতেই ওদেরকে খুব সুন্দর লাগছে।
আমিঃকিরে কেমন আছিস তোরা?
রুশাঃভালো
মেহেকঃআমি ও ভালো আছি আর ভাইয়ারা আপনারা কেমন আছেন?
ভাইয়া কথা শুনা মাত্রই বড়ভাইয়ার মুখটা কালো হয়ে গেলো। আমি আর ছোটভাইয়া মুচকি মুচকি হাসছি।
ছোটভাইয়াঃআমরা ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
মেহেকঃভালো।
বড়ভাইয়াঃতা রুশা তুমি কেমন আছো?
রুশাঃভাইয়া আমি খুব ভালো আছি।
ছোটভাইয়া যেন রুশাকে দেখেই নাই।ভাইয়ার এই don’t care ভাবটা যেন রুশার রাগ আরও বাড়িয়ে দিল।কিন্তু ও প্রকাশ করলো না।
আমি খেয়াল করে দেখলাম দূর থেকে Jimin আর তার দল আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি আর কিছু না বলে রুশা আর মেহেককে নিয়ে ক্লাস এ চলে গেলাম আর ভাইয়ারা প্রিন্সিপালের রুমে গেলো।
প্রিন্সিপালের রুমে গেলো। প্রিন্সিপাল আমার ভাইয়াদের দেখে কেমন জানি ঘাবড়ে গেলো।
প্রিন্সিপালঃআরে স্যার আপনারা!(ঘাবড়ে গিয়ে)
ছোটভাইয়াঃকেন আমাদের দেখে বুঝি খুশি হন নাই?(বাকা হেসে চেয়ারে বসতে বসতে)
প্রিন্সিপালঃনা না কি যে বলেন স্যার!(ঘাম মুছে)
বড়ভাইয়াঃএই শীতের মধ্যেও আপনি ঘামছেন?(বাকা হেসে)
ভাইয়াদের এই বাকা হাসিও কেমন জানি ভয়ংকর লাগে।
প্রিন্সিপালঃনা মানে স্যার এমনিই।
বড়ভাইয়াঃআচ্ছা আপনি এতো ভয় পাচ্ছেন কেন?নাকি ভাবছেন যে আমরা সব কিছু জেনে গেছি?
প্রিন্সিপালঃপ্লিজ স্যার আমি কিছু জানি না।আমাকে ছেড়ে দিন।(কান্না করে)
ছোটভাইয়াঃছেড়ে দেয়ার কথা তো পরে হবে আগে বলুন মেয়েগুলা কোথায়?(রেগে)
প্রিন্সিপালঃওদেরকে আজ বর্ডার পার করানো হবে।
বড়ভাইয়াঃকোনদিক দিয়ে পার করানো হবে।(রেগে চিল্লিয়ে)
প্রিন্সিপালঃবেনাপোল দিয়ে।
ভাইয়া কাকে জানি কল করে বেনাপোল দিয়ে যাওয়া সকল গাড়ি আটকাতে বলল।
তারপর চেক করে মেয়েগুলাকে এখানে নিয়ে আসতে বলল।
ছোটভাইয়াঃভাইয়া এই প্রিন্সিপালের কি করবো??
বড়ভাইয়াঃআগে তো ওনার কাছ থেকে পুরা কাহিনী শুনে নেই!কি বলেন প্রিন্সিপাল সাহেব।
আমিঃপুরা কাহিনী আমি বলি ভাইয়া?
পিছন থেকে আমি বলে উঠলাম।
প্রিন্সিপালঃতাহলে তুমিই সব করেছো?(রেগে)
এই কথা বলার সাথে সাথে আমার দুইভাই ঘুষি দিল।
ছোটভাইয়াঃতোর সাহস কি করে হল আমার মিস্টির সাথে এভাবে কথা বলার।(রেগে চিল্লিয়ে)
বড়ভাইয়াঃভাবছিলাম তোকে একটা সুযোগ দিব কিন্তু না এখন তোকে আর বাচিয়ে রাখা যাবে না।
আমিঃযা করার পরে করো।এখন আগে কাহিনী শুনো।
বড়ভাইয়াঃবল টুকু।
আমি বলতে শুরু করলাম।
আমিঃআমি যেদিন প্রথম এখানে আসি ওইদিন আমি ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম।কিন্তু আমি ওইদিন গাড়ি নিয়ে আসি নাই।আর সেইজন্যই আমি রিকশায় করে যাচ্ছিলাম।ঠিক তখন দেখি আমাদের প্রিন্সিপাল সাহেব একটা মেয়েকে ওনার গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছে।আমি ভাবলাম এমনিই হয়তো নিয়ে যাচ্ছে।আমি আর পাত্তা দিলাম না।এরপরের দিন আমি গাড়ি নিয়ে ভার্সিটিতে আসি।কিন্তু ঠিক ওইদিনও আমি ওনাকে আরেকটা মেয়েকে নিয়ে যেতে দেখি।কিন্তু আমি এবার ভার্সিটিতে আসার সময় মেয়েটাকে নিয়ে যেতে দেখি।আর গতদিন বাসায় যাওয়ার সময় দেখেছিলাম।এবার আমার কিছুটা সন্দেহ হয়।আমি ভার্সিটিতে যাই আর ক্লাসে যাওয়ার সময় দেখি এক দম্পতি কান্না করতে করতে যাচ্ছে।আমি দৌড়ে ওদের কাছে গেলাম গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম কি হইছে।ওনারা বলল ওনাদের মেয়ে কালকে ভার্সিটি থেকে আর বাসায় ফিরে নি।আমি ওদের কাছে মেয়ের ছবি দেখতে চাই।আমি মেয়ের ছবি দেখে পুরাই অবাক কারন এই মেয়েকেই আমি ওনার সাথে যেতে দেখেছি।
তারপর আমার কাছে পুরা বিষয়টা কেমন জানি লাগলো। এরপরের দিন আমি কলেজএ না এসে আমি গাড়ি নিয়ে গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি আর উনি ওইদিনও একটা মেয়েকে নিয়ে গেল।এবার আমি কিছু গার্ডস নিয়ে ওনার পিছন পিছন যাই।গিয়ে দেখি উনি ওনার গাড়িটা একটা ভাঙা বাড়ীর সামনে দাড় কারায়।এরপর মেয়েটাকে নিয়ে উনি বাড়ীর ভেতরে যায়।আমরা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি উনি কখন বের হবে তার জন্য। কিছক্ষন পরই উনি বের হয়ে আসলেন এরপর গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন।উনি চলে যাওয়ার পর আমরা ওই বাড়ীতে ডুকি।গিয়ে দেখি কয়েকটি লোক অনেকগুলা মেয়েকে ড্রাগস দিচ্ছে।গার্ডসরা আমার কথায় ওদেরকে একে একে শুট করে দিলো।তারপর আমি মেয়েগুলাকে নিয়ে চলে আসি।কিন্তু আমার মনে হয়েছিল উনি শুধু একজায়গায় না আরও অনেক জায়গায় এমন ভাবে মেয়েদের নিয়ে রেখেছে।আমি ভেবেছিলাম তাদেরকেও বের করব কিন্তু তার আগেই তোমরা চলে আসলে।তাই আমি তোমাদের সব খুলে বললাম।
প্রিন্সিপালঃ তার মানে ওইদিন তুমি আমার লোকগুলুকে মেরেছিলে?(রাগে অবাক হয়ে)
আমিঃআপনার কি এখনও কোন সন্দেহ আছে?ভাইয়া আমার মনে হয় এটাকে আর বাচিয়ে না রাখাই ভালো।
ছোটভাইয়াঃআমারও তাই মনে হয়।কিন্তু আজকে আমরা ওকে কিছু করবো না।
বড়ভাইয়াঃতুই আজ রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবি।
এই বলেই আমি আর আমার ভাইয়ারা বের হয়ে আসলাম।
প্রিন্সিপালঃ রাত পর্যন্ত আমাকে খুজে পেলেই তো আমাকে মারবে!(বাকা হেসে)
এই বলেই তারাতারি রুম থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে গেলো।
কিন্তু গেইটের সামনে যেতেই একটা ট্রাক এসে বেচারাকে ধাক্কা দিয়ে দিলো।
আমি আর আমার ভাইয়ারা দূর থেকে সব দেখছি আর হাসছি।
বড়ভাইয়াঃবেচারা ভুলেই গেছে যে তার ভাবনা যেখানে শেষ হয় আমার ভাবনা ওখান থেকেই শুরু হয়।
আমরা তিনজনই হাসতে লাগলাম।
আপনারা ঠিক ধরেছেন এক্সিডেন্টটা আমার বড়ভাইয়াই করিয়েছে।
ছোটভাইয়াঃকিন্তু একটা কথা মানতে হবে আমাদের মিস্টি কিন্তু অনেক বড় হয়ে গেছে।
বড়ভাইয়াঃহুম।
আমি শুধু হাসলাম।
অন্যদিকে
Jimin : এই তিনভাই বোনকে যতটা ভয়ংকর ভেবেছিলাম এরা দেখি তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর.(মনে মনে)
আকাশঃকিরে কি ভাবতাছিস?
Jimin : না কিছু না
রাজঃY/N কে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।এই মেয়ে বাইকও চালাতে পারে!!
Jimin এর কেমন জানি সহ্য হলো না।
Jimin: তোকে এতো দেখতে কে বলেছে?(রাগে চোখ মুখ লাল করে)
অনিলঃআরে ও তো এমনিই বলল।
নিলাঃকিন্তু যাই বল মেয়েটা কিন্তু ওর ভাইয়াদের জান।
Jimin: সাথে আমারও(বিরবির করে)
আকাশঃকিছু বললি?.
Jimin: না কই কিছু না।
সাদঃআচ্ছা তোরা কি জানিস যে আমাদের প্রিন্সিপাল মারা গেছে?
নিলাঃকি বলিস!!
রিধিঃযা হইছে ভালো হইছে।
রাজঃকেন কিভাবে ভালো হইছে?
নিলাঃআরে না ও এমনিই বলেছে।
Jimin: যদি Y/N এর ভাইয়ারা ওনাকে না মারতো তাহলে ওকে আমিই মেরে ফেলতাম।(মনে মনে)
আমি,রুশা আর মেহেক ক্যান্টিনে বসে আছি।
ভাইয়ারা অফিসে চলে গিয়েছে।
রুশাঃজানিস আমাদের প্রিন্সিপাল নাকি নারী পাচার করতো!
মেহেকঃ কি বলছিস এসব?
আমিঃযা হয়েছে ভালই হয়েছে।
রুশাঃহুম।কিন্তু আমার মনে হয় কেউ স্যারকে ইচ্ছা করে মেরেছে।
আমি ভ্রু কুচকে রুশার দিকে তাকালাম।
আমিঃআমি তো শুনলাম স্যারের নাকি এক্সসিডেন্ট হইছে....
মেহেকঃআমিও তো তাই শুনলাম।
রুশাঃকিন্তু আমার কেমন জানি খটকা লাগছে।
মেহেকঃহইছে তোর এই গোয়েন্দা গোয়েন্দা ভাব তোর কাছেই রাখ।এখন চল মাঠে যাই।
আমিঃহুম চল।
তারপর আমরা তিনজন মাঠে গেলাম।গিয়ে দেখি Jimin রা গাছ তলায় বসে আছে।আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মাঠের মাঝখানে গিয়ে বসলাম।
Jimin আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।কিন্তু ওর চোখগুলা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে।কিন্তু বুঝতে পারছি না এমন কেন হচ্ছে।মনে হচ্ছে ও আমার খুব কাছের কেউ।শুধু এখন না ভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই মনে হচ্ছে।
রুশাঃকিরে কি ভাবছিস?
আমিঃকিছু না।
মেহেকঃআমার তো মনে হয় তুই Jimin ভাইয়াকে নিয়ে ভাবছিস!(মুচকি হেসে)
আমি রাগি চোখে তাকালাম মেহেকের দিকে।
অন্যদিকে
Jimin : এই মেয়েটাকে রাগলেও এতো সুন্দর দেখায় কেন?
আকাশঃকিরে কি ভাবছিস?
Jimin :কিছু না।
আকাশঃJimin তুই আমার সাথে আয়।
Jimin :কই যাবো?
আকাশঃআসতে বলছি তো।
Jimin: চল।
Jimin আর আকাশ অন্যজায়গায় চলে গেল।
আকাশঃতুই কি করছিস এসব?
Jimin: আমি যা করছি তা তো তোর অজানা নয়।
আকাশঃযদি কোন ক্ষতি হয় Y/N এর?
Jimin: হবে না।এই Jimin থাকতে Y/N এর কোন ক্ষতি হবে না।আমি হতে দিব না।
আকাশঃনা হলেই ভালো। আমাদের ফ্রেন্ডদের মধ্যে শুধু আমি জানি যে তুই,রুশা,মেহেক ভ্যাম্পায়ার। Y/N যদি জানতে পারে তাহলে কি ও এসব কিছু মেনে নিবে?
Jimin: ও তো আমাকে না রাতের সেই লোকটাকে ভালবাসবে।
আকাশঃY/N অনেক চালাক।ওর যদি একবার সন্দেহ হয় তাহলে ওর কিন্তু বেশি সময় লাগবে না সব জানতে।
Jimin :আমি তো সেটাই চাই।
আকাশ আর কিছু বলল না।তারা আবার সবার কাছে গেলো আর কথা বলতে লাগলো কিন্তু Jimin শুধু আমাকেই দেখছে।
আমি মাঠের মাঝখানে বসে ছিলাম আর ভাবতাছিলাম বিশাল আর ভাবিনের কথা।
আমিঃকুত্তা গুলা আর কবে আইবো।একবার আইয়া নিক কুত্তাগুলার ১২টা বাজামু আমি।(মনে মনে)
রুশাঃআচ্ছা তুই একটু পর পর কোথায় হারিয়ে যাস বল তো?
মেহেকঃকার কথা ভাবিস এতো?
আমিঃকারোর কথা না।
রুশাঃআচ্ছা এটা তোর গাড়ি না??কিন্তু তুই তো এখানে তাহলে তোর গাড়ি দিয়ে কে আসলো? (গেইটের দিকে তাকিয়ে)
আমিঃকি বলছিস এসব!আমি তো আজকে বাইক নিয়ে এসেছি।
রুশাঃতাহলে এইডা কিতা?(গেইটের দিকে ইশারা করে)
আমিও তাকালাম দেখলাম আমার দুই কুত্তা আমার গাড়ি থেকে নামতাছে। আমার মনে হল আমি স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু ওরা তো আমার দিকেই এগিয়ে আসছে।
আমি আর কিছু না ভেবে ওদের কাছে গেলাম।আমি প্রথমে খুশি হলেও পরে আবার রাগ উঠে যায়।
আমি ওদের দিকে রাগি চোখে তাকালাম।
ওরা বুঝতে পারছে যে আমি রেগে আছি।তাই ওরা আমাকে এসে জড়িয়ে ধরল।
আমিঃছাড় বলছি।কুত্তা ছাড়।
আমি ওদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আশেপাশে লাঠি খুজতে লাগলাম।
বিশালঃএবারের মতো মাফ করে দে?(হাত জোর করে)
ভাবিনঃপ্লিজ জানু।
আমিঃলাস্ট বারের মতো মাফ করলাম।
ওরা দুইজনেই আমাকে আবার জড়িয়ে ধরল।
চল তোদের সাথে আমার ফ্রেন্ডদের পরিচয় করিয়ে দেই।
বিশালঃফ্রেন্ড মানে?(ভ্রু কুচকে)
ভাবিনঃতুই কি এখানে এসে নতুন বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছিস নাকি?(রেগে)
আমিঃআরে না।শুধু ফ্রেন্ড।
বিশাল আর ভাবিনঃঠিক তো?
আমিঃহুম।
Jimin এসব দেখে প্রচুর রেগে গেছে।মনে হচ্ছে তার চোখ মুখ দিয়ে এখনি আগুন বের হবে।
Jimin :তুমি এখন যা করলে তার শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে ময়না পাখি।(রেগে মনে মনে)
তারপর আমি দুইজনকে রুশা আর মেহেকের কাছে নিয়ে গেলাম।
আমিঃরুশা আর মেহেক ওরা হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বিশাল আর ভাবিন।
মেহেকঃহাই আমি মেহেক
রুশাঃআমি রুশা।
বিশালঃহুম তোমাদের কথা Y/N আমাদের বলেছে।
ভাবিনঃতো কেমন আছ তোমরা?
মেহেকঃভালো। তোমরা কেমন আছ?
বিশালঃ আমরাও ভালো আছি।
রুশার চোখ এখন Jimin এর দিকে।Jimin এর এই ফেস দেখে রুশা অনেক ভয় পেয়ে গেলো।
রুশাঃভাইয়াকে এখনি বাসায় নিয়ে যেতে হবে তা না হলে আল্লাহই জানে আজকে কি হবে Y/N এর সাথে।
রুশাঃআচ্ছা শুন তোরা থাক আমি বাসায় যাই।আমার কিছু কাজ আছে।
আমিঃআচ্ছা যা।
রুশা তারাতারি গিয়ে Jimin কে নিয়ে বাসায় চলে গেলো।
মেহেকও চলে গেলো।
বিশালঃআচ্ছ জানু আমরা যেই কাজের জন্য এসেছি সেটা তো প্রায় শেষের দিকে. তাই না?
ভাবিনঃওই প্রিন্সিপালের একা একা সাহস হবে এসব কাজ করার।ওর পিছনে নিশ্চয় কোনো বড় মানুষের হাত আছে।
আমিঃআমারও তাই মনে হয়।আচ্ছা চল বাসায় যাওয়া যাক। বাসায় গিয়ে রাতে এগুলা নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
বিশালঃহুম চল।
আমরা তিনজনই বাসায় চলে এলাম।
In park vila
Jimin বাসায় এসেই বাসার সব কিছু ভাংচুর করতে লাগলো। নিহাল,কথা আর দাদুভাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
নিহালঃJimin থাম।এসব কি করছিস?
কথাঃকি হয়েছে আমাদের বল?
আরহামঃএভাবে হবে না।
এই বলেই আরহাম কিছু একটা পড়ে Jimin এর গায়ে ফু দিল।তাতে Jimin কিছুটা শান্ত হলো এবং নিজের ঘরে চলে গেলো।
jimin এর পিছন পিছন রুশা ও এলো।
নিহালঃরুশা Jimin এমন ভাবে রেগে আছে কেন?
কথাঃহুম কি হয়েছে?
তারপর রুশা সব বলল।
সবাই চিন্তায় পরে গেলো।
রুশাঃআমি ভাবছি আজকে Y/N এর কি হবে?
আরহামঃওর কিছুই হবে না।কারন ও Jimin এর জন্যই সৃস্টি হয়েছে আর তাই Jimin এর রাগ সহ্য করার ক্ষমতাও তার আছে।
কথাঃবাচ্চা মেয়েটা আর কতো সহ্য করবে এসব।
নিহালঃএসব ভেবে লাভ নাই কারন আমরা কিছুই করতে পারবো না।
রুশাঃআল্লাহ তুমি Y/N কে রক্ষা করো।
Jimin :তোমাকে এর জন্য শাস্তি পেতেই হবে।(চিল্লিয়ে রেগে)তোমাকে ছোয়ার অধিকার শুধু আমার আছে।আজকে তোমার সাথে যা হবে তার জন্য তুমি নিজেই দায়ী থাকবে।
এসব কথা বলেই Jimin তার হাতের পাশে থাকা ফুলদানিটা ভেঙে ফেলল।