You Are Only My Queen - Part - 7 ( Jimin Bangla Vampire FF )

 


( বোনাস বোনাস 🙈)
রাতে
in park vila
সবাই খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে ।Jimin ও আছে।রুশা খাচ্ছে আর Jimin কে দেখছে।শুধু রুশা না সবাই খাচ্ছে আর Jimin কে দেখছে।Jimin স্বাভাবিক ভাবেই খাবার খাচ্ছে।ওকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে একটু আগে এতো কিছু হয়েছে।
Jimin: আমি কি এলিয়েন নাকি যে আমাকে সবাই এভাবে দেখছো?(খাবারের দিকে তাকিয়ে)
Jimin এর কথা শুনে সবাই থতমত খেয়ে খাবারের দিকে মনোযোগ দিল।
নিহালঃতুমি কি তোমার রাগটা একটুও কন্ট্রোল করতে পারো না Jimin ?(গম্ভীর হয়ে)
Jimin: বাবা প্লিজ আমার আর Y/N এর মধ্যে আমি চাই না তোমরা কেউ ডুকো।
আরহামঃতোর চাওয়া মতই যে আমাদের সব কিছু করতে হবে এমনটা কি কোথাও লিখা আছে নাকি?
রুশাঃY/N যদি একবার জানতে পারে যে রাতে তুই ওর ঘরে যাস তাহলে ও যে কি করবে আল্লাহই জানে।
Jimin: তোর ভাইয়া জানে কিভাবে তোর ভাবিকে ঠান্ডা করতে হয়।আর হা কি বললি যদি জানতে পারে তাহলে কি করবে?শুন যাই করুক আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার কথা ভাববেও না।
আর কেউ কিছু বলল না।কারন জানে Jimin কে কিছু বলে লাভ নাই।
এরপর সবাই খাবার খেয়ে রুমে চলে গেল।
Jimin রুমে গিয়ে সোফার উপরে পায়ের উপর তুলে বসে আছে।
Jimin: জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল তুমি আজকে করলে।তুমি আমার সামনে অন্যকাউকে জড়িয়ে ধরে খুব বড় ভুল করে ফেললে।এর শাস্তি যে তোমাকে পেতেই হবে ময়নাপাখি।আজকে তুমি আমার আসল রুপ দেখবে।(বাকা হেসে)
রুশাঃআল্লাহই জানে আজকে কি হবে?
ভাইয়া এতো শান্ত তার মানে নিশ্চয় মনে মধ্যে কোন ভয়ংকর প্লেন চলছে।উফফ এই পোলারে নিয়া আর পারি না।রাগ রাগ রাগ। এই রাগ নিয়েই থাকবে সারাজীবন।
নিহালঃতোমার কি মনে হয় কথা?
কথাঃআমার Y/N এর ওপর পুরা বিশ্বাস আছে।ও আমার পাগলটাকে ঠিক শান্ত করে নিবে।
নিহাল আর কিছু বলল না।
অন্যদিকে
আমি,ভাইয়ারা,বিশাল আর ভাবিন একসাথে বসে আছি সোফায়।খাবার শেষে আমরা সবাই বসে আছি নারী পাচারের বিষয়ে কথা বলতে।
আমিঃভাইয়া আমার মনে হচ্ছে এইসবের পিছনে অনেক বড়মাপের জড়িয়ে আছে।
এবং সে এখন দেশের বাইরে আছে।
বড়ভাইয়াঃতুই কিভাবে বুঝলি?
আমিঃওইদিন আমি প্রিন্সিপালের রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উনাকে কার সাথে জানি ফোনে কথা বলতাছিল।উনি কাকে যেন বলছিলেন যে দেশে না আসার জন্য উনি সব কিছু সামলে নিবে।আমি তখনি বুঝলাম যে দেশের বাইরে থেকে কেউ একজন পুরা গেমটা খেলছে।
ছোটভাইয়াঃতাহলে আমাদের আরও খোজ লাগাতে হবে।
বিশালঃকিন্তু আমার মনে হয় না যিনি দেশের বাইরে আছে তিনি আমাদের সম্পর্কে কিছু জানে।
ভাবিনঃতা হতে ও পারে আবার না ও হতে পারে।
আমিঃআমার মনে হচ্ছে জানে শুধু বাংলাদেশে না আরও অনেক দেশ থেকে মেয়ে পাচার করা হয়।
ছোটভাইয়াঃআমারও তাই মনে হচ্ছে।
বড়ভাইয়াঃঅনেক রাত হয়েছে যাও সবাই ঘুমিয়ে পর।
আমিঃহুম।যা বিশাল আর ভাবিন ঘুমিয়ে পর।কালকে দেখা হচ্ছে।
বিশালঃহুম।
আমি আমার রুমে চলে আসলাম। কিন্তু আমার কেমন জানি ফিল হচ্ছে। মনে হচ্ছে আজ আমার সাথে কিছু একটা হতে যাচ্ছে।আমি আর সাত পাচ না ভেবে ঘুমিয়ে পরলাম।
রাত ৩ঃ৩০
Jimin আমার রুমে প্রবেশ করলো।আমি ঘুমাচ্ছি।হঠাৎ আমি আমার ওপর ভারী কিছু অনুভব করলাম।আমি চোখ খুলে তাকাতেই একজোড়া লাল চোখ দেখতে পেলাম।আমি ভয় পেয়ে গেলাম।আমি নড়তেও পারছি না।
আমিঃআরে আপনি তো বড় আজব লোক। দেখি নামুন আমার কস্ট হচ্ছে।
কিন্তু Jimin কোনকথাই শুনলো না।ঠাস করে আমার গাড়ে কামড় দিল।
আমি ব্যথায় চিৎকার করে উঠলাম।কিন্তু আমার চিৎকার কেউ শুনতে পারবে না কারন আমার রুম সাউন্ডপ্রুফ।
Jimin: খুব ব্যথা পাচ্ছিস না।আমারও এমন ব্যথা লেগেছিলো যখন তুই আমার সামনে আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেছিলি।
আমিঃআপনি কা কার কথা বলছেন?আর আমি জড়িয়ে ধরলেই বা আপনার কি?(কান্না করতে করতে)
আমার এই কথা শুনে যেন Jimin আরও ক্ষেপে গেলো। এবার আমার উপর থেকে উঠে আমাকে একটানে দাড় করিয়ে দিল।তারপর আমার গালে অনেক জোরে একটা থাপ্পড় মারলো।আমি টাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে গেলাম।আর আমার ঠোটের কোণা দিয়ে রক্ত পরতে শুরু করলো। তাতেও যেন Jimin এর রাগ কমলো না।সে আমাকে উঠিয়ে আমার চুলের মুঠি ধরে আমার ঠোট দখল করে নিলো।আমার ঠোঁটের উপরে সে তার সব রাগ উঠাচ্ছে।আমি আর সহ্য করতে না পেরে ওকে জোরে ধাক্কা দিলাম।তাতে Jimin এর মাস্কটা খুলে গেলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।চোখ দিয়ে যেন আপনাআপনিই পানি পরতে শুরু করলো। আমি কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠলাম
আমিঃ Ji Ji Jimin !!!
Jimin রাগ দেখিয়ে বলল
Jimin: তো কাকে ভেবেছিলি?
আমিঃতার মানে আপনি এতো দিন আমার....
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না তার আগেই অজ্ঞান হয়ে যাই।
আমি অজ্ঞান হয়ার পরে Jimin এর হুশ ফিরল।
Jimin তারাতারি করে আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিল।
Jimin: ময়নাপাখি এই ময়নাপাখি কথা বলো।(কান্না করে)।সরি ময়নাপাখি আমি আর তোমার ওপর রাগ দেখবো না।ময়নাপাখি উঠ না।(কান্না করতে করতে)
আমার জ্ঞান এখনও ফিরে নাই।Jimin পাগলের মতো হয়ে গেছে।
তারপর Jimin আমার কাছে এসে আমার ক্ষত জায়গাগুলার মধ্যে হাত ভুলিয়ে দিল সাথে সাথে আমার সব ক্ষত ভালো হয়ে গেলো।
Jimin এবার আলতো করে আমার ঠোটে ঠোঁট ছোয়ালো।
Jimin: তুমি কেন বুঝ না আমি আমার সাথে ছাড়া তোমাকে আর কারোর সাথে সহ্য করতে পারি না।তুমি শুধুই আমার।#you_are_only_my_queen।এই ময়নাপাখি উঠ না।আচ্ছা আমি আর কখনও এমন করবো না।কিন্তু তুমি যদি তোমার ভাইয়ারা আর তোমার দুই বেস্ট ফ্রেন্ড ছাড়া আর কোন ছেলের সাথে কথা বল তাহলে আমি কি করবো আমি নিজেও জানি না।
Jimin অনেকক্ষন কান্না করার পর আমার জ্ঞান ফিরল।
জ্ঞান ফিরতেই আমি দেখলাম Jimin আমার হাত ধরে বসে আছে আর কাদছে।
আমিঃআমার হাত ছাড়ুন।(রেগে)
Jimin :তোমার জ্ঞান ফিরেছে ময়নাপাখি।(উত্তেজিত হয়ে)
আমিঃআমার হাত ছাড়ুন আর প্লিজ এখান থেকে যান।আমি আপনাকে সহ্য পারছি না।
ব্যস আর কি লাগে Jimin এর রাগ উঠানোর জন্য।
Jimin: তুমি চাও বা না চাও তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে।তুমি শুধু আমারই।আর হা ওরা তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই ছাড় দিলাম।তোমাকে যদি আমি তোমার ভাইয়ারা আর তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডরা ছাড়া আর কারোর সাথে কথা বলতেও দেখি না তাহলে দেখবে তোমার কি হাল হয়।(রেগে দাতে দাত চেপে)
আমি ভয়ে আর কিছু বললাম না।কারন আমি সত্যিই Jimin কে খুব ভয় পাই।
Jimin এবার আমার পাশে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো।
আমি চাইলেও ওকে একচুলও সরাতে পারছি না।
Jimin: তোমার মতো পিপড়া আমাকে সরাতে পারবে না তাই হুদাই চেষ্টা করে লাভ নাই।তার চেয়ে তোমার জন্য চুপচাপ ঘুমিয়ে পরাটাই বেটার হবে।
আমি আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরলাম।
Jimin এইদেখে মুচকি হেসে আমাকে আরও শক্ করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল। 
 
 
সকালে
আমি উঠে দেখি Jimin নাই।আমার কালকের রাতের কথা ভেবেই ভয় হতে লাগলো।
আমি এসব ভাবছিলাম তখনই ভাইয়ারা এলো। তারা এসে আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমিঃকি হলো এভাবে কি দেখছো?
বড়ভাইয়াঃতুই আজকে এতো তারাতারি উঠে পরলি যে?
ছোটভাইয়াঃ শরীর ঠিক আছে তো?(কপালে হাত দিয়ে)।ওমা একি তোর তো জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে।(উত্তেজিত হয়ে)
বড়ভাইয়াঃকি বলছিস কি?(উত্তেজিত হয়ে)
বড়ভাইয়া ও আমার গায়ে হাত দিয়ে চেক করেই চিল্লিয়ে ছোটভাইয়াকে বলল
বড়ভাইয়াঃছোটু তারাতারি গাড়ি বের কর।টুকুকে হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে..(চিল্লিয়ে)
ছোটভাইয়াঃআমি এক্ষুনি যাচ্ছি।(কান্নার সুরে)
এই বলে ভাইয়া তারাতারি নিচে চলে গেলো।
ভাইয়াদের চিল্লানি শুনে বিশাল আর ভাবিন ও আসলো।
বিশালঃকি হয়েছে জানুর?(বিচলিত সুরে)
বড়ভাইয়াঃজ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে।(কান্না করে)
আমিঃভাইয়া আমার কিছু হয় নাই।আমি রাত অব্দি ঠিক ছিলাম সকালের দিকে জ্বর টা আসছে মনে হয়।
ভাবিনঃতুই চুপ কর।একে তো নিজের খেয়াল রাখবে না তার ওপর আবার আমাদের কথাও শুনবে না।(রেগে)
ছোটভাইয়া এসে আমাকে কোলে করে গাড়িতে নিয়ে গেলো।
আমিঃভাইয়া আমি ঠিকাছি।আমার কিছু হয় নাই।
বড়ভাইয়াঃআমি তোমাকে চুপ করে থাকতে বলেছি।(রেগে)
বিশালঃসব সময় আমাদের চিন্তায় ফেলতে তোর খুব ভালো লাগে তাই না?(রেগে)
ছোটভাইয়াঃভাইয়া দেখ তো জ্বর বেড়েছে কিনা?
বড়ভাইয়াঃনা ছোটু।তুই তারাতারি গাড়ি চালা।বিশাল আমাদের লন্ডনের ডাক্তারকে একবার কল দে।আর বল লন্ডনের বেস্ট হসপিটালের ডাক্তারগুলাকে একসাথে কনফারেন্সে আসতে বল।
বিশালঃ আমি এক্ষুনি বলছি।
বড়ভাইয়াঃছোটু আমরা কোন হসপিটালে যাচ্ছি?সেটা ঢাকার নামকরা হসপিটাল তো?
ছোটভাইয়াঃহুম ভাইয়া।
ভাবিনঃভাইয়া জানুর জ্বর কিন্তু বেড়েই চলেছে।আর ও আস্তে আস্তে দূর্বল হয়ে পরছে।
বড়ভাইয়াঃটুকু এই টুকু একটু চোখটা খুলা রাখ বোনু।ছোটু তারাতারি চালা।(চিল্লিয়ে)
in hospital
হসপিটালে আনতে আনতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।ভাইয়ারা কান্না করে দিছে আমার এই অবস্থা দেখে।বিশাল আর ভাবিন ও কান্না করতাছে।বড়ভাইয়া আমাকে কোলে নিয়ে হসপিটালে ঢুকল আর চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে ডাক্তারকে ডাকতে লাগলো।
ভাইয়ার চিল্লানি শুনে সব ডাক্তাররা চলে এলো।
তারা এসে আমাকে একটা কেবিনে নিয়ে গেলো। নিয়ে আমাকে শুইয়ে দিল।বড়ভাইয়া,বিশাল আর ভাবিন আমার কাছে বসে আছে।
আর ছোটভাইয়া ডাক্তারের সাথে কথা বলতাছে।
ছোটভাইয়াঃএই হসপিটালের বেস্ট ডাক্তার কে?তাকে তারাতারি ডাকুন।(রেগে চিল্লিয়ে)
একজন ডাক্তারঃএখানের বেস্ট ডাক্তার হচ্ছে কথা খান।কিন্তু তিনি এখানে নেই।
এই কথা বলার সাথে সাথে ছোটভাইয়া ওই ডাক্তারের নাক বরাবর ঘুষি মারলো।তারপর কলার ধরে বলল
ছোটভাইয়াঃআমি না শুনতে অভ্যস্ত নই।তাই আরও মাইর খাবার আগেই ওই ডাক্তারকে নিয়ে আসুন আর ওনাকে বলবেন যে Kim Namjoon আর Kim Seokjin তাদের বোনকে নিয়ে এসেছে।আর যদি তারপরও না আসে তাহলে আমি বাধ্য হয়েই তাকে বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে আসতে হবে।
সব ডাক্তাররা ভয়ে কিছু না বলে কথা খানকে কল করে সব খুলে বলল।তিনি আর একমুহূর্ত দেরি না করে হসপিটালে চলে এলো।
ভাইয়ারা,বিশাল আর ভাবিন আমার কাছে তখনও বসে ছিল।আমার জ্ঞান একটু আগেই ফিরেছে।
আমিঃকি হলো তোমরা সবাই কাদছো কেন?দেখ আমি একদম ঠিকাছি।
বড়ভাইয়াঃটুকু আমি কোন কথা শুনতে চাই না। (রাগি সুরে)
কথা আর রুশা তারাতারি হসপিটালে আসলো।
কথাঃদেখি দয়া করে আপনারা একটু রুমের বাইরে যান আমি পেশেন্টকে দেখবো।
ভাইয়ারাসহ সবাই রুমের বাইরে চলে গেলো। আমার দুইভাই রুমের বাইরে বসে কান্না করতে লাগলো।
মেহেকও চলে আসল।এসে রুশার কাছে শুনলো যে আমার ট্রিটমেন্ট চলছে।
রুশা আর মেহেক দুইজনই খেয়াল করল আমার দুইভাই দুইজায়গায় বসে কান্না করছে।
মেহেক বড়ভাইয়ার পাশে গিয়ে বসলো আর রুশা ছোটভাইয়া কাছে।
মেহেকের খুব খারাপ লাগলো বড়ভাইয়াকে এই অবস্থায় দেখে।
মেহেকঃপ্লিজ এভাবে কান্না করবেন না দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।(ভাইয়ার কাধে হাত রেখে)
ভাইয়া কিছু না বলে খুব শক্ত করে মেহেককে জড়িয়ে ধরল। মেহেক খুব অবাক হলেও কিছু বলল না।ভাইয়াকে শান্তনা দিতে লাগলো।
অন্য দিকে রুশা ভাইয়ার কাছে গিয়ে বসলো।
রুশাঃখুব ভালোবাসেন তাই না?
ছোটভাইয়াঃনিজের জানের থেকেও বেশি।জানো ও যখন ছোট ছিল তখন ও পানিতে ডুবে গিয়েছিলো। তারপর ঠিক হয়ে গেলেও ওর ব্রেনের মধ্যে কিছু পানি ডুকে যায়। ডাক্তার বলেছিল যে এটা সময়ের সাথে বুঝা যাবে যে ওর সব কিছু ঠিক আছে কিনা।তারপর থেকে আমি আর ভাইয়া কোনদিন ওর অযত্ন করি নি।কিন্তু দেখ আজ আমার বোন কি অবস্থায় আছে।
এসব বলেই আবার কান্না করতে লাগলো।
রুশা এসব শুনে খুবই অবাক হয়ে গেলো আর সে বুঝতে পারছে কার জন্য আমার এমন জ্বর আসলো।
শুধু রুশা না Jimin এর মা বাবাও এবং দাদুভাই ও বুঝতে পেরেছিলো যে আমার এই অবস্থা শুধুমাত্র Jimin এর জন্য। Jimin রাতে আমার ক্ষতগুলা ঠিক করে দিলেও আমার রাগ ঠিক করতে পারে নাই।আমি রাতে কিছু না বললেও রেগে ছিলাম ঠিকই।আর প্রচুর ভয়ও পেয়েছিলাম।কারন jimin যখন আমার গাড়ে কামর দিতে গিয়েছিল তখন তার সরু দাতগুলা আমি দেখেছিলাম তখনই বুঝেছি
যে Jimin কোন মানুষ না।আমি তখন আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না তাই রাতে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
কথা খান আমাকে দেখছিলেন।আমি সজ্ঞানেই ছিলাম।আমি হঠাৎ করেই বলে উঠলাম।
আমিঃJimin কি মানুষ না আন্টি?
উনি আমার দিকে অবাক দৃস্টিতে তাকিয়ে আছে।
আমিঃআমি জানি Jimin মানুষ না কারন কালকে আমি Jimin এর সরু দাতগুলা দেখেছি আর কোন মানুষের এমন দাত হতে পারে না।
কথাঃআজ না অন্য আরেকদিন তোমাকে সব বলবো আর আমি জানি যে তোমার এই অবস্থা Jimin ই করেছে এটাও জানি।
আমিঃJimin যদি মানুষ না হয় তাহলে তো আপনারাও মানুষ না তাই না?
কথাঃতুমি খুবই বুদ্ধিমতি।তাই আজ না তোমাকে আরেকদিন সব বলব।by the way তুমি কি Jimin কে খুব ভয় পাও?
আমিঃপাই না মানে।কালকের পর থেকে তো আরও বেশি করে ভয় পাই।
কথাঃআচ্ছা তুমি থাক আমি আসছি।
আমিঃআপনি গিয়ে আমার ভাইয়াদের বলবেন যে আমি একদম ঠিক আছি।আর তাদের একটু ভিতরে পাঠিয়ে দিবেন প্লিজ।
কথাঃতোমার জ্বর আর একটু পরেই কমে যাবে।
এই বলেই উনি বাইরে চলে গেলেন।
কথাঃMR.Namjoon আপনার বোনের জ্বর একটু পরেই কমে যাবে।
বড়ভাইয়াঃওর হঠাৎ করে জ্বর আসলো কেন?
ছোটভাইয়াঃহুম।
কথাঃও মনে হয় রাতে বারান্দার দরজা খুলে শুয়ে ছিলো তাই ঠান্ডা লেগে জ্বর আসছে।চিন্তার কিছু নাই।
ছোটভাইয়াঃআমার বোনের কিছু হবে না তো?
কথাঃআপনাদের মতো ভাই থাকতে ওর আবার কিছু হতে পারে নাকি?(মুচকি হেসে)
এই বলেই কথা খান চলে গেলো।
ভাইয়ারা,বিশাল আর ভাবিন আমার কাছে আসলো।
ভাইয়ারাঃএতো কেয়ারলেস কেন তুই?(রেগে)
আমিঃসরি ভাইয়ারা।
বিশালঃরাখ তোর সরি।আচ্ছা ভাইয়া আমি কি লন্ডনের ডাক্তারগুলাকে কনফারেন্সে আসতে বলবো?
বড়ভাইয়াঃএখন না আমি আর ছোটু রাতে ওদের সাথে কনফারেন্সে যাবো।
ছোটভাইয়াঃমিস্টি এখন তুই একটু ঘুমা আমরা এখানে আছি।আর হা আজকের রাত তোকে এখানেই থাকতে হবে আমরাও থাকবো।আমি রহিম চাচাকে বলে দিয়েছি উনি আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে।
আমিঃভাইয়া প্লিজ.......
বড়ভাইয়াঃটুকু তোকে আমি চুপ থাকতে বলেছি।
আমি আর কোন কথা বললাম না।কারন আমি জানি আমার কথা এরা চারজনের কেউই শুনবে না।
কিন্তু একটুপরে কি হলো বড়ভাইয়া আমাকে বাসায় নিয়ে এলো।
আমিঃভাইয়া আমাদের তো হসপিটালে থাকার কথা ছিলো।কিন্তু আমরা বাড়ী যাচ্ছি কেন?
বড়ভাইয়াঃকারন আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে তোর হসপিটালের গন্ধটা সহ্য হয় না।তাই তোকে তারাতারি বাসায় নিয়ে এলাম।আচ্ছা ছোটু টুকুর সব রিপোর্টগুলা লাগবে।আজকে আমি আর তুই লন্ডনের ডাক্তারগুলার সাথে কনফারেন্সে রিপোর্টগুলা নিয়া আলোচনা করবো।
ছোটভাইয়াঃওকে ভাইয়া।আমি সব রিপোর্ট গুছিয়ে রাখবো।
কথা বলতে বলতে আমরা বাসায় এসে পৌছে গেলাম।
অন্যদিকে
Jimin কে আমার সম্পর্কে কিছুই জানানো হয় নি।সবাই ইচ্ছা করে জানায় নি।কারন আজকে Jimin এর জন্যই আমার এই অবস্থা।
কথা: Y/N জেনে গেছে যে Jimin মানুষ না।
সবাইঃকি বলছো এসব!!!!!!(অবাক হয়ে)
কথাঃহুম।আজকে ও আমাকে Jimn সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছে।
আরহামঃকি জিজ্ঞাসা করেছে?
তারপর কথা খান সব খুলে বলল।
রুশাঃআমি জানতাম Y/N যেই মেয়ে ও ঠিকই বুঝে যাবে।
Jimin: কি বুঝে যাবে??
সবাই পিছনে তাকিয়ে দেখে Jimin দাঁড়িয়ে আছে।
Jimin: কে কি বুঝে যাবে?
আরহামঃবুঝে যাবে না বুঝে গেছে।
Jimin: কে বুঝে গেছে আর কি বুঝে গেছে?
কথাঃY/N এটা বুঝে গেছে যে তুই মানুষ না।
Jimin অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
নিহালঃকাল রাতে তুই কি করেছিস মেয়েটার সাথে!!তুই জানিস ওর আজকে জ্বর এসেছে।ওকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হয়েছে ।
jimin : কি বলছো এসব বাবা?(কান্নার সুরে)
রুশাঃহুম।এবার এটা চিন্তা কর ও তোকে মেনে নেয় কিনা।তুই জানিস ওর ভাইয়াদের কি অবস্থা হয়েছিলো।বিশাল আর ভাবিন যাদের জন্য তুই Y/N এর সাথে এমন করলি জানিস তারা নিজের বোনের চোখে দেখে আর তুই কিনা কালকে কোন কথা না শুনে মেয়েটার সাথে এমন করেছিস।
নিহালঃতুই এটা ঠিক করিস নাই।শুধুমাত্র নিজের রাগের কারনে আজকে তুই মেয়েটাকে এই অবস্থা করলি।
Jimin কিছু না বলে চোখ মুখ শক্ত করে উঠে দাড়ালো।
Jimin: যাই হয়ে যাক ও কোনদিন ও আমার কাছ থেকে যেতে পারবে না।আমি যা ইচ্ছা করবো ওর সাথে কারন ও শুধুমাত্রই আমার কুইন।আমি ছাড়া আর কারোর কোন অধিকার নাই ওকে কস্ট দেওয়ার।ওকে কস্ট ও দিব আমি আদরও করবো আমি।আর হা আমি যা করেছি আমি জানি তা আমি ঠিক করি নাই কিন্তু আমি ছাড়া ওর ওপর আর কারোর অধিকার নাই।এই কথাটা সবাই মাথায় ঢুকিয়ে নেও।
এই বলে Jimin তার রুমে চলে যায়।
Jimin: আজকে আমি তোমাকে আমার সম্পর্কে সব বলবো।কিন্তু তোমাকে আমার থেকে দূরে যেতে দিব না।#you_are_only_my_queen.তুমি কখনই আমা থেকে ছাড়া পাবে না।এই vampire king এর রাজ্যেই তোমাকে queen হয়ে থাকতে হবে।
 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments

Facebook